আন্তর্জাতিক ডেস্ক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২ জানুয়ারি : ভারতের পাঞ্জাবের পাঠানটক বিমানঘাঁটিতে বেঁচে হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে তারা পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি সূত্র। ঐ হামলাকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গুলিবিনিময় করেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে চালানো ঐ হামলায় চারজন সন্ত্রাসী ও তিনজন সৈন্য নিহত হয়েছেন। হামলায় ঠিক কতোজন অংশ নিয়েছিল এটি জানা যায়নি।
সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনী হামলার এলাকাজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালায়। কিন্তু বেঁচে যাওয়া সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, সন্ত্রাসী সংগঠন জইস-ই-মোহাম্মদ এই হামলা চালিয়েছে। সূত্র বলছে, হামলাকারীরা পাকিস্তানের ভাওয়ালপুর থেকে এসেছে। তাদের ঘাঁটির হেলিকপ্টার স্টেশন ধ্বংস করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
পাকিস্তানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আকস্মিক সফরের ১০দিনের মধ্যে এই হামলা চালানো হলো।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, আমরা পাকিস্তানের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। কিন্তু যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলা জবাব দেয়া হবে।
গোয়েন্দারা আগেই পাঠানকোন ঘাঁটিতে সম্ভাব্য হামলা সতর্কবার্তা করে দিয়েছিলেন। এরপর শুক্রবার রাতে একটি জরুরি সভা ডেকে ঘাঁটির নিরাপত্তা জোরদারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঐ বিমানঘাঁটিতে মিগ-২১ বিসন যুদ্ধবিমান ও এমআই-৩৫ যুদ্ধ হেলিকপ্টার রয়েছে। এই ঘাঁটিটি পাকিস্তান সীমান্তের কাছ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, সন্ত্রাসীরা বিমানঘাঁটিতে ঢুকে পড়লেও যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারগুলো অক্ষত আছে।
হামলাকারীরা কর্মকর্তাদের একটি গাড়িতে করে বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ করে। তাদের পরণে সেনাবাহিনীর পোশাক ছিল। সূত্র বলছে, যে গাড়ি নিয়ে সন্ত্রাসীরা ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে সেই গাড়ি গুরুদাসপুরের এসপি গাড়ি। এটি গতকাল সন্ধ্যায় ছিনতাই করা হয়েছিল।
পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে হামলার ছয়মাস পর বিমানঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হলো। গুরুদাসপুরের দিয়ানগরে গ্রেনেড ও একে-৪৭’র হামলায় তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।