সকল মেনু

ইরাক-সিরিয়ায় বিদেশি যোদ্ধার সংখ্যা দ্বিগুণ

1449573096আন্তর্জাতিক ডেস্ক,  হটনিউজ২৪বিডি.কম ০৮ ডিসেম্বর :  ইরাক ও সিরিয়ায় বিদেশি যোদ্ধার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কমপক্ষে ২৭ হাজারে এসে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদনে সংঘাতের বৈশ্বিক মাত্রা তুলে ধরা হয়।
মঙ্গলবার গোয়েন্দা পরামর্শক সংস্থার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সোফান গ্রুপের এ প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সংখ্যা এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের জোর প্রচেষ্টা চালানো সত্ত্বেও ইরাক ও সিরিয়ায় বিদেশি যোদ্ধাদের প্রবাহ ঠেকানো যাচ্ছে না।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক এ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইরাক ও সিরিয়ায় বিদেশি যোদ্ধাদের উপস্থিতি বাস্তবিকভাবেই বৈশ্বিক।’
বিশ্বের অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপের যে স্বপ্ন ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সফলতা সেটিকেও ছাড়িয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। এ জিহাদি গ্রুপ আল-কায়েদার মতো জঙ্গি গ্রুপকেও ছাড়িয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক্ষেত্রে আইএস হাজার হাজার লোককে তাদের গ্রুপে আনতে সক্ষম হয়েছে এবং আরো অনেক লোকের সমর্থন আদায় করেছে।
সোফান গ্রুপ জানায়, বিশ্বের প্রায় ৮৬টি দেশ থেকে ২৭ থেকে ৩১ হাজার যোদ্ধা ইরাক ও সিরিয়ায় প্রবেশ করে। ২০১৪ সালের জুন মাসে তাদের সর্বশেষ প্রকাশিত একই ধরণের প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রায় ১২ হাজার বিদেশি যোদ্ধা সিরিয়ায় প্রবেশ করে।
মধ্যপ্রাচ্য ও মাগরেব অঞ্চলের দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যোদ্ধা এ দুই দেশে প্রবেশ করে। এ দুই অঞ্চলের প্রত্যেকটি থেকে প্রায় ৮ হাজার করে যোদ্ধা ইরাক ও সিরিয়ায় প্রবেশ করে।
এছাড়া ইউরোপের দেশ থেকে প্রায় ৫ হাজার এবং সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের দেশগুলো থেকে প্রায় ৪ হাজার ৭শ’ যোদ্ধা এ দুই দেশে প্রবেশ করে বলে জানা যায়।
সোফান গ্রুপ আরো জানায়, পরে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বিদেশি যোদ্ধা তাদের দেশে ফিরে যায়। এতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে বড় ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এদিকে আইএস বিদেশের মাটিতে তাদের হামলা জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে।
জঙ্গি গ্রুপটি গত মাসে প্যারিসে ভয়াবহ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। ওই হামলায় ১৩০ জনের প্রাণহানি ঘটে। বাসস।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top