সকল মেনু

“মাঠে পীরদের হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিল”

3952_images_93229নিজস্ব প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম: জহির, রাজু, আবির, আল-তারেক, কিং মোর খান, সাজ্জাদ ও মনসুর। তারা সবাই আল মুজাহিদ অব বাংলাদেশ নামে একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। এদের টার্গেট ছিল মাজারকেন্দ্রিক পীর। একেক জন মাজারকেন্দ্রিক পীরদের হত্যার পরিকল্পনা নিয়েই তারা মাঠে নেমেছিল। কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতায় তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। বুধবার বিকালে মতিঝিল শাপলা চত্বর সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন মুজাহিদ অব বাংলাদেশের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (দক্ষিণ) বিভাগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মনিরুল ইসলাম বলেন, নতুন এই জঙ্গি সংগঠনে মোট ২৫ থেকে ৩০ জন সদস্য থাকতে পারে। যাদের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বড় নেতা এখন কারাগারে। তাকেও এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। বাকিদের ব্যাপারে তথ্য জানা গেছে। তবে বিস্তারিত জানতে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে আনা হবে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, রাজধানীতে মাজারকেন্দ্রিক পীর ও তাদের অনুসারীরা দিনের পর দিন শিরক করে আসছে। তারা মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। তাদের হত্যা করতে পারলে জিহাদে অংশ নেওয়া হবে বলে মনে করেন সংগঠনটির সদস্যরা। এরই অংশ হিসেবে কিছুদিন ধরে তারা একজন পীরকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

সেই অনুযায়ী ওই পীরের পিছু নেয়। কিন্তু পুলিশের তৎপরতার কারণে ওই পীর এখন নিরাপদে রয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সেই পীরের নাম বলা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, নতুন এই জঙ্গি সংগঠনটি ২ বছর ধরে সংগঠিত হচ্ছে। এদের কিছু সদস্য উচ্চ বেতনে চাকরি করে। বেতনের কিছু টাকা তারা সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করে আসছে। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেক ভালো। অনেকের আইটি সম্পর্কেও জ্ঞান আছে। এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) কিংবা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

এটি আল-কায়েদার অনুসারী হলেও আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের (আকিস) সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আগে কোনো পীর হত্যার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। আগের পীরদের জেএমবি হত্যা করেছিল বলে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন জহিরুল ইসলাম আনসার ওরফে জহির, খন্দকার রাজেশ সোবাহান ওরফে রাজু, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে আবির, আব্রাহাম আহমেদ আল-তারেক, মোরশেদুল ইসলাম ওরফে কিং মোর খান, কাজী বাপ্পি আহমেদ ওরফে সাজ্জাদ ওরফে তারেক বিন জিয়া মোল্লা আক্তার মো. মনসুর। এরা সবাই বিভিন্ন নামে আইডি খুলে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। যাতে তাদের গোয়েন্দারা নজরদারি করতে না পারেন। যেমন চূড়ান্ত লড়াই, কাঁচা মরিচ, আদার ব্যাপারী, মৌমাছি, নিয়মের অনিয়ম, এক টুকরো মেঘ ও সাদা পাতা।
আসামিরা কয়েক দিন ধরে একজন মাজারের পীরকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল। সংগঠনটির একজন বড় নেতা বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন বলে মনিরুল ইসলাম জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top