সকল মেনু

আলোচনার পথ বন্ধ করে দিয়েছে বিরোধী দল: প্রধানমন্ত্রী

Pm-bg20130607071634ঢাকা: বিরোধী দল তাদের দাবি অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার জন্যে সংসদে মুলতবি প্রস্তাব দিয়ে আবার তা প্রত্যাহার করে আলোচনার পথ বন্ধ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার বিকেলে ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংসদ উপনেতা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধী দল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার জন্য মুলতবি প্রস্তাব দিলো। আমরা এ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সিদ্ধান্ত নিলাম। পরক্ষণেই সংসদ অধিবেশন শুরু হতে না হতেই তারা তাদের প্রস্তাব প্রত্যাহর করে নিলো। প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়ে তারাই আলোচনার পথ বন্ধ করে দিয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “আগামী নির্বাচন যথাসময়েই হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই হবে। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে অন্তত একবার এ ধারাবাহিকতা শুরু করতে হবে।”

বাজেট সম্পর্কে বিভিন্ন সমালোচনার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “অবশ্যই এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। যে বাজেট আমরা দিয়েছি, সে বাজেট বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা আমরাই রাখি। গত চার বছরে আমরা তার প্রমাণ দিয়েছি।”

মুলতবি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়ে বিরোধী দল জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “মুলতবি প্রস্তাবের আইনগত কিছু বিষয় আছে। বিরোধী দল নিদলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার জন্য মুলতবি প্রস্তাব দিয়েছিলো। আমরা স্পিকারকে আইনগত দিকগুলো পরীক্ষা করে তাদের মুলতবি প্রস্তাব গ্রহণ করার কথা বলেছিলাম। সংসদে বসলাম, তখন সঙ্গে সঙ্গে শুনি তারা মুলতবি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আমরা আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিলাম, তারা প্রত্যাহার করে নিলো। তার মানে তারা আলোচনা চায়নি। তারা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এখন আলোচনার আর সুযোগ নেই। আলোচনার পথ তারা বন্ধ করে দিয়েছে।”

“৯০ দিন পার হলে সংসদ সদস্য পদ চলে যায় তাই তারা সংসদে এসেছেন। যদিও সংসদে আছেন, বাজেট উপস্থাপনের সময় ছিলেন না। তারা বাজেট অধিবেশনে অংশ নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে দিতে পারেন।”

হেফাজতের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হেফাজত মুলত বিএনপি-জামায়াতের খেলা। হেফাজতের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত মসজিদে আগুন দিয়েছে, কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে। এর ছবি আছে। হেফাজতকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো হতাহত হয়নি। এখন তারা হাইতির ভূমিকম্পের ছবি, জর্জ টাউনের সুইসাইডের ছবি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।”

“যারা কাবা শরিফের গেলাফ পরিবর্তনের ছবি নকল করে একজন যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে প্রতিবাদ দেখানোর চেষ্টা করেছেন। কাবা শরিফের সেই গেলাফ পরিবর্তনের নকল করা ছবি একটি পত্রিকা প্রকাশ করেছে। যারা কাবা শরিফের গেলাফ নিয়ে এ ধরনের কাজ করে তাদের ছেড়ে দেবো না। এটা হতে পারে না।”

বিরোধী দলের নেতার ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হেফাজতের ওপর ভর করে বিরোধী দলের নেত্রী আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছিলেন, আমি নাকি পালানোর পথ খুঁজে পাবো না। এখন পালানোর পথ কার খুঁজতে হবে, বিরোধী দলের নেত্রীকে সেটা চিন্তা করতে হবে।”

বাজেটের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “একজন বলেছেন এ বাজেট বাস্তবায়নে নাকি রাজস্ব আদায়ের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। যারা এটা বলেন, আমি তাদের বলবো, আমরা সারা জীবন মানুষের কাছে হাত পেতেই থাকবো, উনারা তাই চান। বাংলাদেশ হাত পাতবে, আর উনারা কনসালটেন্সি করে খাবেন। আমরা ২ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় বাজেট। আমরা এ বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষমতা রাখি। বাংলাদেশ আর কারো কাছে হাত পাতবে না। নিজেরা উন্নয়ন করে রাজস্ব বাড়ানো হবে। সেটা দিয়ে চলবো, কারো কাছে ভিক্ষার হাত পাতবো না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top