সকল মেনু

দুর্যোগে ‘বন্ধু’ থাকবে বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

ISPR_bg_887746604নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৩০ আগস্ট : দুর্যোগ প্রস্তুতি ও মোকাবেলায় পরস্পরের বন্ধু থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় সেনাবাহিনী। ২০১০ সাল থেকে যে গভীর সম্পর্কের শুরু, তার সূত্রে এবার ৬ষ্ঠবারের মতো শুরু হয়েছে ৫ দিনের যৌথ মহড়া।
রোববার সকালে আর্মি গলফ ক্লাবে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। দুর্যোগ প্রস্তুতি ও মোকাবেলায় পরস্পরকে সহযোগিতা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও গবেষণা থেকে পাওয়া শিক্ষা বিনিময় হবে এ ৫ দিনে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার লে.জে. মো. মইনুল ইসলাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল গ্রেগরি সি. বিলটন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অপারেশনস অ্যান্ড প্ল্যান পরিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এজাজুল বার চৌধুরী, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. মহসিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কর্মকর্তারা জানান, ঢাকায় ভূমিকম্প হলে তা মোকাবেলার পরিকল্পনা ও পর্যালোচনা-মূল্যায়ন করা হবে এ যৌথ মহড়ায়। জরুরি অবস্থায় চিকিৎসা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি বিষয়ক অনুশীলনও করা হবে। পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়ার মধ্যকার বিদ্যমান দূরত্বগুলো চিহ্নিত করা হবে। তাছাড়া ২০১৫ পিআর ডিআরইই জরুরি অবস্থায় ব্যবস্থাপনা ও উড্ডয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় বাড়াবে। বাংলাদেশে বৈদেশিক মানবিক সহায়তা প্রক্রিয়া মূল্যায়ন করা হবে মহড়ায়।
এতে এজাজুল বার চৌধুরী বলেন, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও মোকাবেলায় সাড়া প্রদান বিষয়ে সামরিক ও বেসামরিক এ উদ্যোগ ‘প্যাসিফিক রেজিলিয়েন্স রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (পিআর ডিআরইই)’ কর্মশালায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় সেনাবাহিনী কাজ করছে। এটি রোববার থেকে শুরু হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, ভূমিকম্প মোকাবেলায় সাড়া প্রদান বিষয়ক প্রক্রিয়া অনুশীলন করতে এ নিয়ে ৬ষ্ঠবারের মতো বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় সেনাবাহিনী একত্রিত হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, ভূমিকম্প বিষয়টি আমাদের মধ্যে জুজুবুড়ির মতো হয়ে আছে। আমাদের আগে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে। ভূমিকম্পের প্রস্তুতিতে বিশেষজ্ঞরা একে অন্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন, বিশেষ করে যারা নেপাল গিয়েছিলেন। সেখানকার লব্ধ অভিজ্ঞতা বিনিময় করছেন যৌথ মহড়ায়। সবার গবেষণার ফলাফল এতে আমরা জানতে পারবো। তিনি বলেন, দু’ভাগে এ আয়োজন চলবে। প্রথমত, যার যার যে কাজ, তা সমন্বয় হবে। দ্বিতীয়ত, গলফ মাঠে ৩ দিনের মহড়ায় থাকবো। যে সব এজেন্সি আমাদের আছে, সেগুলোর মধ্যে সমন্বয় হবে। সরকারের স্টেকহোল্ডাররা বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেবেন। আয়োজন আমরা সীমিত গণ্ডিতে করছি, যাতে কাজটি সহজভাবে বোঝা যায়, আয়ত্ত্ব করা যায়। তিনি বলেন, তুর্কি বন্ধুরাও তাদের অভিজ্ঞতা আমাদের জানিয়েছেন। আমরা একসঙ্গে কাজগুলো করছি। যুক্তরাষ্ট্র প্যাসেফিক এলাকা যথেষ্ট ভূমিকম্পপ্রবণ। ভলকানিক এলাকা, পলিনেশিয়ান এলাকা, ইন্দোনেশিয়ায়ও ভূমিকম্প হয়। এসব দুর্যোগে তাদের যে অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেগুলো বিনিময় হচ্ছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে গ্রেগরি সি. বিলটন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের কাজে যুক্ত হয়ে ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ে কাজ করে। সবাইকে সহযোগিতার উদ্দেশ্য রয়েছে আমাদের। যে কোনো জরুরি অবস্থায় সাধারণ মানুষ যেন নিজেদের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন, তাতে সহযোগিতা দিতে চাই। দুর্যোগ মোকাবেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করতে হবে। তাহলেই ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। আমাদের সবারই এক উদ্দেশ্য- মূল্যবান মানবসম্পদের ক্ষতি না হোক, সবাই সবার পাশে থাকুক বিপদে-আপদে। এ কর্মকর্তা নেপালের পরিস্থিতিতে মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন। এদিকে, কর্মকর্তারা জানান, ২ দেশের মহড়ায় ১৫০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা ধারাবাহিকভাবে ‘টেবল টপ’ অনুশীলনে অংশ নেবেন। মাঠপর্যায়ের সাড়ে ৩শ কর্মকর্তাও অনুশীলনে অংশ নেবেন। এতে অনেক বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করা হবে। প্যাসেফিক রিজিলিয়েন্স এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি ধারাবাহিক অনুশীলন, যা বড় দুর্যোগের সময় এর বৈশ্বিক অংশীদারদের সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি নিশ্চিত করে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসেফিক কমান্ডের সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় ও মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় সাড়া দানে সহায়তা দেয়।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top