সকল মেনু

বাংলাদেশের মানুষের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে আমি প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

PM1_BG_414614855নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১৬ আগস্ট : বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে আমি প্রস্তুত। যতোই ষড়যন্ত্র হোক, পরোয়া করি না। আল্লাহ্ ছাড়া কারও কাছে মাথানত করি না, করবো না।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এ স্মরণ সভার আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছেন। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই হবে। শুধু মধ্যম আয়ের দেশ না, বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করবো, সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটুকু বলবো যে, এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবে সেটা হতে দেবো না। আমার জীবনের কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমার পিতা জীবন দিয়ে গেছেন। এদেশের দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। তার স্বপ্ন ছিলো দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়া। সেই স্বপ্ন পূরণ করাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কখনও ভুল করেন না। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। বাঙালি জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন হবেই। কোনো ষড়যন্ত্রকে আমি ভয় করি না। আল্লাহ ছাড়া আমি কারো কাছে মাথানত করবো না। আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনা তুলে ধরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর লক্ষ্যই ছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা। কিন্তু তারা তা করতে পারেনি। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু পারেনি। যে বাঙালিকে বঙ্গবন্ধু জীবনের চেয়ে, সন্তানের চেয়ে বেশি ভালোবেসেছেন, সেই বাঙালির হাতেই তাকে জীবন দিতে হলো। যে বাঙালি স্বাধীনতার মাধ্যমে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সেই বাঙালির মাথা হেট হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি দিয়ে বিচার বন্ধ করে দেন। জাতির পিতার খুনিদের রাষ্ট্রদূত করে বিদেশে পুনর্বাসন করেন। এরশাদ এসে বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুককে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করেন। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনে রশিদকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে সংসদে বসান। এদেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদের মতো খালেদা জিয়াকেও ক্ষমতাচ্যুত করে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের একটি দেশ দিয়েছেন, একটি রাষ্ট্র দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তো তার জীবনের জন্য কিছুই চাননি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা ছয়টি বছর দেশের বাইরে কাটিয়েছি। মাত্র ১৫ দিন আগে গেলাম আর ১৫ দিন পর খবর পেলাম, বাবা, মা, ভাই কেউ নেই। সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদেরকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। বিদেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ রেহানাই সর্বপ্রথম করে। ১৯৭৯ সালে জার্মানিতে রেহানা একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়। ১৯৮১ সালে দেশে আসি। কিন্তু আমাকে ৩২ নম্বরের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাস্তায় বসে মিলাদ পড়তে হয়েছে।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top