সকল মেনু

কুয়াকাটায় দুই পুলিশের হাতে পর্যটক প্রেমিক যুগল নাজেহাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া :কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাড়ির এএসআই কবির ও কথিত ক্যাশিয়ার দীপক চরম হয়রাণী করেছে পর্যটক প্রেমিক যুগলকে। ওই প্রেমিক যুগল আরিফুর রহমান (২৫) ও সুমি (২০) হোটেল সৈকতে অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে হোটেলের দরজা না খুলতে বলে পুলিশ সদস্যদ্বয় বাইরে একটি মই দিয়ে দোতলায় ওঠে তাদের কক্ষ খুলতে বাধ্য করে। এমনকি স্বামী-স্ত্রী কি না জানতে চেয়ে এক পর্যায় পুলিশ ফাড়িতে নিয়ে যায়। এমনকি বুধবার কলাপাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে পুলিশের ওই দুই সদস্য এভাবে পর্যটকদের হয়রাণী করে আর্থিক সুবিধা আদায় করে আসছে। চাহিদামতো টাকা দিতে না পারলে তাদের আটক করা হয়। টাকা পেলে ছেড়ে দেয়া হয়।
হোটেল সৈকতের মালিক শেখ জিয়াউর রহমান জানান, রাত ২টার দিকে ফাঁড়ির বকসি কনেস্টবল দীপক মই এনে হোটেলের দোতালায় উঠে সব লাইট বন্ধ করে ওই পর্যটকদের রূম খুলে তাদের আটক করে বের হওয়ার সময় আমার হোটেল বয়দের রাগ চাপ দিয়ে গেট খুলে তাদের নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান দীপক একজন কনেস্টবল হয়েও এখানে এসে তাদের কাছে এস আই পরিচয় দিয়েছে। এই ঘটনায় তিনি হতবাক।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন সাধারন সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, কোন রকম ইনফর্মেশন ছাড়া মামলা ছাড়া হোটেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এভাবে যদি পর্যটক হয়রানী করে তবে কুয়াকাটা শেষ হয়ে যাবে। তিনি আরো জানান, পুলিশ গভীর রাতে মই বেয়ে চোরের মত হোটেলের দোতালায় উঠে পর্যটকদের রুম খোলে এটা পৃথিবীর কোথাও আছে কিনা জানিনা। এটা চরম ন্যাক্কার জনক।
কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই সঞ্জয় জানান, আমি আগে বিষয়টি শুনিনি পরে শুনে সেখানে গিয়েছি। এই ঘটনায় গোটা কুয়াকাটা হোটেল মালিক ও পর্যটকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top