সকল মেনু

দিনাজপুরের অঞ্চলগুলি মাদক মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে

mail.google.comস্টাফ রিপোর্টার: দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত এলাকারগুলো এখন মাফিয়া চক্রদের নিয়ন্ত্রণে। এখানে স্থানীয় প্রশাসন হয় তাদের সাথে মিলেমিশে থাকবে না হয় তাদের ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারের পদ হারিয়ে মিথ্যা অভিযোগে যেতে হবে ফাটক। তবে এলাকার বিজ্ঞজনেরা মনে করেন এসব অপকর্ম নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা কার্যক্রম যথেষ্ট হলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ তা দেখেও দেখছে না। অবস্থা এমনটি হলে সেদিন আর বেশী দুরে নয়, যে দিন ইউনিয়ন পরিষদ এবং থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হবেন। এবং চাকুরী, জীবন ও পদ রক্ষা করতে মাদক মাফিয়াদের চাঁদা দিয়ে দিতে হবে ও তাদের কথায় উঠতে বসতে হবে।
মাদক ব্যবসায়ীরা এক রকম প্রকাশ্যে মাদকের মজুদ গড়ে তুলছে। ফেন্সিডিল, গাঁজা, হেরোইন এমনকি ইয়াবাসহ দেশী-বিদেশী মদের পাইকারী বেচাকেনা চলছে। তবে ফেন্সিডিল আর গাঁজা ছাড়া অন্য কিছু খুচরা বিক্রি হচ্ছে না। জানা যায়, সীমান্তের ওপারে নকল ইয়াবা ও ফেন্সিডিল তৈরীর কারখানা গড়ে উঠেছে। এই নকল ইয়াবা ও ফেন্সিডিল বাংলাদেশে আসে। এগুলি পান করে নেশা হলেও মারাত্মক মৃত্যুঝূঁকিতে আক্রান্ত হয় পানকারীরা। সব মাদকদ্রব্য এখন ঢাকামুখী। ঢাকা থেকে আগত মাদকের পাইকাররা দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে বসে থেকে মাদক দ্রব্য কিনছেন ঢাকা পাঠানোর জন্য। আর এইসব ব্যবস্থা সম্পন্ন করছেন দিনাজপুর শহরে বসে একটি চক্র। এই কেনাবেচার মধ্যে রয়েছে লাইনম্যান, শহরের প্রভাবশালী চক্র এবং ক্রেতা-বিক্রেতা এবং পরিবহন এজেন্ট। এরা দিনাজপুরে বসেই ঢাকাতে মাদকের চালান পৌঁছে দেওয়ার গ্যারান্টি দিয়ে থাকে। খবর নিয়ে জানা যায়, যে এখন ঢাকার ক্রেতারা দিনাজপুরের হোটেলে উঠেন না। এরা থাকে বিভিন্ন মহল্লায় মেস, ভাড়া করা বাড়ী, সহ আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলে।
গগনপুর চৌরাস্তা, নাড়াবাড়ী, শহরগ্রাম, নোনাগ্রাম, নোনাদহপাড়া, রতনূরপুরগ্রামসহ অন্যান্য গ্রামে প্রকাশ্যে মাদকের বেচাকেনা চলছে। এই সব এলাকার মিজানুর রহমান প্রায় ১০ বছর থেকে মাদক ব্যবসা করছে। অন্যদিকে এইসব এলাকার আব্দুস সালাম, মোসলেম, নোনাদহগ্রামের বুধু, রতনূরপুরের মকবুল, খাদেমুল, সেতাবগঞ্জ হাকিম ও ইসমাইল, সেতাবগঞ্জ কলেজ পাড়ার মুন্না (৪০), রুবেল (৩২), খুচরা ও পাইকারী মাদক দ্রব্যের সাথে জড়িত। এদের অজ্ঞাত কারণে পুলিশ ধরছে না। এদের নামে একাধিক চোরাচালানীসহ বিভিন্ন ধরণের মামলা রয়েছে। এবং এই কাজগুলির মূল হোতা লাইনম্যান হিসেবে কাজ করছেন গগনপুর চৌরাস্তার টিভি মেকার আফসার। এই আফসার মূলত মাদক ব্যবসায়ীদের লাইন হিসেবে কাজ করে। এই আফসার নিজেকে পুলিশের সোর্স বলে পরিচয় দিয়ে থাকে বলে মাদক ব্যবসায়ীরা জানায়। এই আফসারের সহযোগিতায় মাদক চোরাকারবারীরা নির্ভয়ে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যায়। কিছুদিন পূর্বে গগনপুর চৌরাস্তা শত শত লোকের সামনে থেকে পুলিশের দুর্বলতার কারণে একজন মাদক আসামী হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top