সকল মেনু

যেখানে বিশ্বসেরা মুস্তাফিজ

1435161973

ক্রীড়া ডেস্ক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২৬ জুলাই: ওয়ানডে অভিষেকের দিনটা থেকেই এই রিশ্বরেকর্ড, ইতিহাস শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচয় হয়ে গেছে মুস্তাফিজুর রহমানের।
টানা দুই ওয়ানডেতে ১১ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছেন, প্রথম তিন ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছেন, ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ ওয়ানডেতেও সেরাদের তালিকায় ছিলেন। তবে আরো রেকর্ড, আরো কীর্তি অপেক্ষায় ছিলো তার জন্য। চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেকেই চার বলের এক স্পেলে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে নিজেকে চিনিয়েছিলেন। এবার তার পুরস্কার হিসেবে ম্যান অব দ্য ম্যাচও হয়েছেন।
আর এই পুরস্কার পেয়েই আবারও ‘বিশ্বসেরা’ হয়ে গেছেন মুস্তাফিজ। তিনিই এখন পর্যন্ত পৃথিবীর একমাত্র ক্রিকেটার যিনি টেস্ট ও ওয়ানডে, দু’ ধরনের অভিষেকেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত টেস্ট ও ওয়ানডেতে আলাদা আলাদা ৯৯ জন ক্রিকেটার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন। আর মুস্তাফিজ শততম ক্রিকেটার হিসেবে দুই ফরম্যাটেই নিজের নামটা বাঁধিয়ে রাখলেন। চট্টগ্রাম টেস্টের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি নিশ্চয়ই মুস্তাফিজ। তবে ড্র হয়ে যাওয়া এই টেস্টে প্রাপ্তি আরো অনেক। এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ড্র করলো বাংলাদেশ। যদিও বৃষ্টির কারণে জয়ের পথে থাকা ম্যাচ ড্র হওয়াতে উল্টো বাংলাদেশ হতাশই হয়ে আছে। এ ছাড়া দলটির বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো লিড, প্রথমবারের মতো এই বিশ্বসেরা দলটিকে প্রথম দিনেই অলআউট করা; এসব কীর্তি তো আছেই। স্বভাবতই সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন মুস্তাফিজ।  গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম স্বীকার করলেন, মুস্তাফিজ কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গেছেন, ‘মুস্তাফিজকে নিয়ে আশাবাদী। ও নিজেও বলেছে, টেস্টের সঙ্গে তুলনা করলে ওয়ানডেতে উইকেট পাওয়া খানিকটা সহজ। উইকেটে যদি হেল্প না থাকে তাহলে টেস্টে উইকেট বের করা খুব কঠিন হয়ে যায়। ওর যেই প্রধান অস্ত্র কাটার বা রিভার সুইং সেগুলো টেস্টে ব্যাটসম্যানরা ইজিলি হ্যান্ডেল করে ফেলে। ও নিজেও সেটা বুঝেছে। ও খুব দ্রুত শিখতে পারে। ও বুঝে গেছে যে টেস্টে উইকেট পেতে ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করতে হবে। প্রেসার তৈরি করতে হবে। আমি আশা করি এভাবে খেলতে থাকলে ও ওয়ানডের মত টেস্টেও সাফল্য পাবে। আমার মনে হয় না ওয়ানডে বার টেস্টের মত প্রতি ম্যাচে ৫-৬টা উইকেট পাবে। পেলে তো খুব ভালে; না পেলেও নিজের সেরাটা দিয়ে যাবে আশা করি।’ মুস্তাফিজের ম্যাজিক স্পেলটা নিয়ে অধিনায়ক বলছিলেন, ‘সারপ্রাইজিং বলতে, আমার তো মনে হয় না বাংলাদেশের বোলার বিশ্বের কোনো বোলারই এমন ফ্ল্যাট উইকেটে এমন কমই দেখেছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী ও যেভাবে বোলিং করেছে ক্রেডিট অবশ্যই দিতে হয়। কিন্তু ওর দুর্ভাগ্য ছিল। পরবর্তীতে ও যেন চান্স তৈরি করে এবং তাকে যেন আমরা বেকআপ করতে পারি।’ সবমিলিয়ে এই তরুণ পেসারদের দলে নেয়াটা যে দারুণ একটা ব্যাপার ছিলো, সেটা বারবার বুঝতে পারছেন মুশফিক, ‘একজন বাঁহাতি সিমার যে কোনো দলের আক্রমণ ভাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মুস্তাফিজ এই মুহূর্তে ভাল ক্রিকেট খেলছে, ভাল ফর্মে আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলে যারা  নতুন এসেছে তাদের জন্য মুস্তাফিজের বল খেলাটা একটু কঠিন হয়ে উঠছিল। আমার প্রত্যাশা টেস্টেও যদি মুস্তাফিজ ওর ফর্মটা ধরে রাখতে পারে সেক্ষেত্রে ওদের ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক কঠিন হবে। এবং আশা করি ও যে ফর্মে আছে এটা দ্বিতীয় টেস্টেও বজায় রাখবে।’
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top