সকল মেনু

চিকিৎসকের যৌন হয়রানির শিকার রোগী

h_527297336_88602

নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১৪ জুলাই : চিকিৎসা নিতে এসে এক নারী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ৯ জুলাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ভুক্তভোগী এ ব্যাপারে লিখিতভাবে জানান। ওই দিনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ৩ সদস্যের গঠিত একটি তদন্ত দল প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৬ জুলাই প্রচণ্ড জ্বর ও পেট ব্যথা নিয়ে চমেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন ওই নারী। চিকিৎসক তাকে বুকের এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন। ওই দিন বেলা ৩ টার দিকে হাসপাতালের আয়ার সঙ্গে  রেডিওলজি বিভাগে এক্স-রে কক্ষে যান তিনি। ওই সময় কক্ষে একজন শিক্ষানবিশ হেলথ টেকনোলজিস্ট  দায়িত্ব পালন করছিল। এক্স-রে করানোর আগে আয়াকে বের করে দেয়া হয়। যৌন হয়রানির বিষয়টি তদন্তে রেডিওলজি বিভাগের প্রধান সুবাস মজুমদারকে সভাপতি করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক খোরশেদা শিরীন গত সোমবার জানান, ওই নারীর সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত টেকনোলজিস্টকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম নূর হোসেন। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) এই শিক্ষার্থী শিক্ষানবিশ টেকনোলজিস্ট হিসেবে হাসপাতালে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছে। ওই ঘটনার জন্য নূর হোসেনই দায়ী। শিক্ষানবিশের সঙ্গে প্রশিক্ষক টেকনোলজিস্ট কেন এক্স-রে করার সময় ছিলেন না জানতে চাইলে খোরশেদা শিরীন বলেন, যে-ই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাক, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শিক্ষানবিশ হেলথ টেকনোলজিস্ট নূর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার মুঠোফোন নম্বরটি ২ দিন ধরে বন্ধ পাওয়া যায়। সেদিনের ঘটনার বিষয়ে হাসপাতালের আয়া প্রিয়বালা জানান, তিনি এক্স-রে কক্ষ থেকে বের হতে না চাইলেও ওই ছেলেটি (নূর হোসেন) তাকে বের করে দেয়। ২ দিন পরে ওই নারী তার কাছে এবং নার্সদের কাছে জানতে চান, এখানে জামা খুলে এক্স-রে করা হয় কি না, তখন ঘটনাটি প্রকাশ পায়। হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওই দিন (৬ জুলাই) এক্স-রে কক্ষে যারা দায়িত্বে ছিলেন, নূর হোসেন ছাড়া তাদের সবাইকে ওই নারীর সামনে হাজির করে তদন্ত কমিটি। পরে প্রশিক্ষণার্থী নূর হোসেনকে শনাক্ত করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকে সে আর হাসপাতালে আসছে না। ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘আমরা চাই আর কোনো রোগী যেন হাসপাতালে এসে এ ধরনের নির্যাতনের শিকার না হন।’
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top