সকল মেনু

নকশীর কাজে ভাগ্য বদল

Nakshi1436428961

নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১১ জুলাই : মানিকগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামের নারীদের হাতে তৈরি নকশী পাঞ্জাবী এখন শোভা পাচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন শপিংমলে। এসব নারীদের হাতের স্পর্শ আর ভালবাসায় তৈরি পাঞ্জাবীতে অনেকের ঈদ হয়ে উঠবে প্রাণবন্তময়। এবারের ঈদে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ২ লাখ কারুকার্য খচিত নকশী পাঞ্জাবী ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। শুরুটা হয়েছিল দুই যুগেরও বেশি সময় আগে ব্র্যাকের মাধ্যমে। সহযোগী প্রতিষ্ঠান আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পাঞ্জাবির গায়ে সুই-সুতা দিয়ে নকশা তোলার কাজের প্রশিক্ষণ দেয় ব্র্যাক। ব্র্যাকের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র আড়ং এর মাধ্যমে হাতে কাজ করা ওই পাঞ্জাবীর ব্যাপক চাহিদার সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এর জনপ্রিয়তা ও ব্যাপকতা। সারাদিনের ঘরের কাজ শেষে অবসর সময়ে বাড়তি আয়ের আশায় এখানের নারীরা হাতে তুলে নিয়েছিল সুই-সুতা। ব্যক্তিগত, সম্মিলিতভাবে আবার কোথাও কোথাও বিভিন্ন হ্যান্ডিক্রাফটসের মাধ্যমে শুরু করে পাঞ্জাবির ভরাট কাজসহ ব্লক, বাটিক ও অন্যান্য কাপড়ের কাজ। এভাবেই গত দুই দশকে নকশীর কাজে নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে পুরো জেলায়। মানিকগঞ্জের নকশী, জননী ক্রাফটস এ্যান্ড ফ্যাশন হাউজ, ইউসুফ ইব্রাহীম হ্যান্ডিক্রাফসসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের মাধ্যমেই জেলার প্রায় ৩০ হাজার নারী সারাবছরই সুই সুতার কাজে ব্যস্ত থাকে। সদর উপজেলার ভাটবাউর গ্রামের গৃহিণী আমেনা বেগম জানান, ২০ বছর ধরে সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি পাঞ্জাবি সেলাইয়ের কাজ করেন। ডিজাইন অনুপাতে পাঞ্জাবীর কাজের মজুরী দেয়া হয়। একটি পাঞ্জাবির কাজ করে পাওয়া যায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। একই গ্রামের আরেক গৃহকর্মী সুলতানা জানান, তারা যে পরিশ্রম করেন সেই অনুপাতে তাদের মজুরী দেয়া হয়না। নকশী হ্যান্ডি ক্রাফটস এর পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ক্রে-ক্রাফট, অঞ্জন’স, বাংলার মেলা, রঙ, আবর্তনা, আড়ং, অন্যমেলা, নোঙর, ঋতুবৈচিত্র্যসহ বিভিন্ন শোরুমগুলোতে মানিকগঞ্জের পাঞ্জাবী বিক্রি হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে জেলা থেকে প্রায় ২ লাখ পাঞ্জাবী ঢাকায় যায়।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top