সকল মেনু

নগরকান্দায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দৌরাত্ম বেড়েই চলছে

image_158666 লিয়াকত হোসেন,নগরকান্দা (ফরিদপুর) থেকে: জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের তালিকায় নাম লেখাতে এবং সেই সাথে মাসিক ভাতা বরাদ্দ পেতে অনিয়ম আর জালিয়াতীর আশ্রয় নিয়ে অনেকেই সাজতে চান মুক্তি যোদ্ধা। এমনই কান্ড ঘটিয়েছে নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের পশ্চিম রাধানগর গ্রামের মৃত আঃ রহিম মোল্যার পুত্র আনসার উদ্দিন মোল্যা । জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ঢাকা বিভাগের তালিকায় বাদ পড়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্নাঙ্গ নাম এবং ঠিকানা সহ ১ টি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপনে ফরিদপুর জেলার  ক্রঃ নং ৬৪৮৪ এ আলফাডাঙ্গা উপজেলার রুদ্রবানা গ্রামের মরহুম আঃ রশিদ শেখ  এর পুত্র মোঃ আবজাল শেখ এর নাম থাকলেও অসাধু উপায়ে রামনগর ইউনিয়নের আনসারউদ্দিন মোল্যা নিজের নাম ঠিকানা উক্ত প্রজ্ঞাপনের ৬৪৮৪ ক্রমিক নং এর স্থলে টেম্পারিং করেন।

এমনকি উক্ত (রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত) গেজেটে প্রকাশিত নাম ও তারিখ পরিবর্তন করে সরকারের নিকট মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেতে যথাযথ মাধ্যমে লিখিত আবেদন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আজিজ মুক্তিযোদ্ধার (ভূয়া) ভাতাপ্রাপ্তির আবেদনে অনুমোদনের জন্য স্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে প্রেরণ করলে আবেদনটি যাচাই  করে বাদ দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে আনসার উদ্দিন মোল্যাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও পরবর্তীতে স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, সে অনৈতিক ভাবে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং ভাতা প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আজিজ বলেন, উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাহেবই ভাল জানেন, তিনি সুপারিশ করাতেই আমি আনসার উদ্দিন মোল্যার ভাতা প্রাপ্তির আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছি। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা কমান্ডার ফজলুল হক বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যেই হোকনা কেন তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিৎ।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা যতই অগ্রসর হচ্ছে এই দপ্তরকে ঘিরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অপতৎপরতা, অনিয়ম আর দূর্নীতি দিনে দিনে ততই  বৃদ্ধি  পাচ্ছে। উপজেলার তালমা ইউনিয়নের সদরবেড়া গ্রামের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অখিল ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করায়  তারই চাচাতো ভাই নিখিল নিজ নাম বদলিয়ে অখিলের সনদপত্র ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রাপ্তির জন্য পায়তারা করছে । এবং এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রকৃত যোদ্ধা অখিলের স্থলে নিখিলের নাম এবং অখিলের পিতার নামের স্থলে নিখিলের পিতার নাম পরিবর্তন করতে সর্বাত্মক সহযোগীতা করছে বলে জানা যায়। প্রকৃত তদন্ত সাপেক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্তিকরন ও ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ বলে দাবি করছেন উপজেলার তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top