সকল মেনু

দিনাজপুরে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

unnamedবেলাল উদ্দিন, দিনাজপুর: ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সরগরম হয়ে উঠছে দিনাজপুরে ঈদের বাজার। বড় বড় শপিংমল, মার্কেট, সুপার মার্কেট থেকে আরম্ভ করে মৌসুমী আর অস্থায়ী ফুটপাতের দোকানগুলিতে ক্রেতা আর বিক্রেতার পদধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানগুলিতে চলছে ক্রেতাদের আনাগোনা। কেউবা কিনছে কেউবা পছন্দ করছে জামা-কাপ, জুতা স্যান্ডেল আর কেউবা এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ছুটছে নিজের পছন্দ মতো জিনিস খুঁজতে। দিনাজপুরের শতকরা আশিভাগ মানুষ পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে কৃষি নির্ভরশীল। এদের অর্থনৈতিক মূল উৎস কৃষি পণ্য। এবার ধানের দামসহ কৃষিপণ্যের দাম কম থাকায় সাধারণ কৃষিজীবী মানুষরা ঈদের বাজার করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তবুও ঈদের কেনাকাটা থেমে নেই। অর্থনৈতিক কারণে ক্রেতারা খুঁজছেন কমদামে ভাল কাপড়-চোপড়, স্যান্ডেল-জুতা আর ঈদ সামগ্রী। তাই স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষরা বেছে নিয়েছেন হকার মার্কেট ও ফুটপাতের মৌসুমী দোকানগুলোকে। এখানে তুলনামূলকভাবে দাম কম। এখানে নেই ঘর ভাড়া আর লাইটের বিল ও অন্যান্য খরচাদি। এখন বেচাকেনায় চলছে মন্থর গতি তবে বিশ রমজানের পর থেকে মার্কেটগুলিতে উপচে পড়া ভীড় হবে বলে জানা অনেক দোকানদাররা। শেষের দশ দিন ভাল বেচাকেনার আশা করছেন তারা। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন নামী-দামী ব্রান্ডের কাপড়-চোপড়, স্যান্ডেল-জুতা মজুদ করেছে বিক্রিতারা আর দোকানে নিয়োগ দিয়েছেন নতুন সেলসম্যান। এবার ঈদে মেয়েদের জন্য নানা ডিজাইনের নানা নামের কাপড় বাজারে এসেছে। এর মধ্যে মেয়েদের জন্য রয়েছে, কিরণ মালা, কটকটি, হলুদ পাখি, আকাশ ঘটি, রুমঝুম, মোঘলে তোয়া, সাইকা, হ্যাভেন জয়সহ নানা ধরণের পোশাক। তবে বেবী সুটের বেলা মোদী স্যুট, কম বয়সী শিশুদেরমন কেড়ে নিয়েছে। ভারতীয়সহ বিদেশী পণ্যের আধিক্য বাজারে থাকলেও মেয়েদের পছন্দ দেশী শাড়ি, টুপি-ছ, ফ্রকসহ শিশু পোশাক। তাই, কেউ কেনাকাটা করছেন আবার কেউ পছন্দের মতো জিনিস খুঁজতে ছুটছেন এক মার্কেট থেকে আর এক মার্কেটে। শহরের লুৎফুনন্নেছা টাওয়ার, মালদহপট্টি, গণেশতলা, বাহাদুর বাজারসহ রয়েছে অভিজাত শ্রেণীর দোকান। এছাড়াও রয়েছে কাচারী বাজার হকার্স মার্কেট, জেল রোড হকার্স মার্কেটসহ অস্থায়ী রাস্তাপথে অনেক দোকান। দোকানগুলোতে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন দামে প্রচুর কাপড় রয়েছে মেয়ে ও শিশুদের জন্য। অন্যদিকে কেনাকাটায় ছেলেরাও পিছিয়ে নেই। ছেলেদের পছন্দ রঙ্গিন পাঞ্জাবী। তাতে হাতের কাজ ও সুন্দর ডিজাইনের এপ্লিকসহ নানা নকশা, তাই পছন্দের জিন্স কিনতে সকাল থেকৈ গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে ঘোরা ফেরা করতে দেখা যায় যুবকদের। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পাহাড় সমান ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এবার ঈদে সে ক্ষতি অনেকে অনেকাংশেই পুষিয়ে নেবেন ব্যবসায়ীরা। তাই বেচাকেনার গতি বাড়াতে সব ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছেন দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে টেইলার্সের দোকানে অতিরিক্ত চাপ এড়াতে তারা নতুনভাবে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top