সকল মেনু

ভুয়া ৬ প্রতারক গ্রেফতার

Rab1435922145নিজস্ব প্রতিবেদক :  রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় ভুয়া ডিবি পুলিশকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতরা ডিবি-পুলিশ পরিচয় দিয়ে অপহরণ ও নারীদের সঙ্গে অশ্লীল ছবি তুলে জিম্মি করে টাকা আদায় করে থাকে।

যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন- দলনেতা মো. খায়রুল আলম প্রকাশ রবিউল (৪২), মো. পান্নু মিয়া (৩৫), মো. সাইফুল ইসলাম নিলয় (২৫), মো. খাইরুল ইসলাম মনির (৩২), শামীমা আক্তার তৃষ্ণা (২৭) এবং উম্মে তাসনিন ইভা (১৯)।

শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মাকসুদুল আলম।

তিনি জানান, র‌্যাব-১-এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানাধীন পশ্চিম ফায়দাবাদ মজিবর মার্কেটের শারমিন টেলিকমের সামনে থেকে খায়রুল আলম ও পান্নু মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৬ নম্বর সেক্টরের হাউস বিল্ডিংয়ের পাশে উত্তরা গার্লস হাইস্কুলের সামনে থেকে অপর চারজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক জোড়া হাতকড়া, তিনটি পুলিশের আইডি কার্ড, ব্লাকমেইলিংয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ক্যামেরা, ভিকটিমের চারটি আপত্তিকর ছবি, ২২ হাজার ৪৫০ টাকা, ৯টি মোবাইল ফোন ও একটি লাঠি উদ্ধার করা হয়।

মাকসুদুল আলম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় অভিনব পদ্ধতিতে প্রতারণা করে আসছিল। এ চক্রের নারী সদস্যরা বিভিন্ন অফিস, বাসস্ট্যান্ড, মার্কেট ও খাবার দোকানে বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে। কৌশলে তাদের সঙ্গে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান করে। পরে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্ক কিছুটা গভীর হলে এক পর্যায়ে নির্ধারিত ফ্ল্যাটে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যায় এবং তার সঙ্গে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়।

ঠিক তখনই ওই চক্রের পুরুষ সদস্যরা আকস্মিক ওই ফ্ল্যাটে ঢুকে নিজেদের ডিবি-পুলিশ পরিচয় দিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে ভিকটিমকে মারধর করে। তার পর ওই ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারক নারীর নগ্ন ছবি তুলে তার আত্মীয়স্বজনকে দেখানো বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ভয় দেখিয়ে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করতে থাকে।

তিনি আরো জানান, কখনো ওই একই নারী ব্যবহার করে বিভিন্ন ফ্ল্যাটে দেহব্যবসা গড়ে তোলে। কখনো কখনো এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন পণ্যের সেলস এজেন্ট হিসেবে বিভিন্ন অফিসে গিয়ে বাছাইকৃত ব্যক্তিবর্গের নম্বর সংগ্রহ করে চক্রের অপর নারী সদস্যদের মাধ্যমে ওই লোকগুলোর সঙ্গে ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্ক গড়ার পর একইভাবে তাদের বাসায় নিয়ে জিম্মি করে প্রতারণার মাধ্যমে সর্বস্ব লুট করে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শামীমা আক্তার তৃষ্ণাকে পান্নু মিয়া চাকরির কথা বলে ঢাকায় এনে এবং খায়রুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে অপরাধ জগতে নিয়ে আসে। আটককৃত সাইফুল ইসলাম ও উম্মে তাসনিন ইভা স্বামী-স্ত্রী। তারা একসময় এমএলএম ব্যবসা করলেও পরবর্তী সময়ে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top