নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২৯ জুন : আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে রমজান মাসকে টার্গেট করে ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ১৭৫ মার্কিন ডলার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। ফলে রমজানের এই সময়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা। ভারতের ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (ন্যাফেড) শুক্রবার প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ২৫৫ মার্কিন ডলার থেকে ১৭৫ মার্কিন ডলার বাড়িয়ে ৪৩০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে। বাংলাদেশে রমজানে যখন পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে, তখন ভারতের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়বে বলে ব্যবসায়ীদের শঙ্কা। যশোরের পেঁয়াজ আমদানিকারক ‘আহমেদ এন্টারপ্রাইজের’ ব্যবস্থাপক তুহিন সাহা বলেন, ‘২৫৫ ডলার মূল্যে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের বন্দরেই প্রতি কেজির দাম প্রকার ভেদে ২২/২৫ টাকা পড়েছিল। নতুন করে ৪৩০ ডলার মূল্যে আমদানি করলে কেজি প্রতি দাম পড়বে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের দাম এমনিতেই অস্থিতিশীল। এখন দেশি পেঁয়াজের বাজার আবারো অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ খুলনার পেঁয়াজ আমদানিকারক মিল্টন সাহা বলেন, ‘ভারত সরকার দ্বিতীয় দফা দাম বাড়ানোর ফলে আমাদের আমদানি ব্যয় আরো বেড়ে যাবে, যার প্রভাব দেশের পেঁয়াজ বাজারে গিয়ে পড়বে।’ রমজান শুরুর আগে গত মাসের শেষ দিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়ে যায়। ভারতের রপ্তানিকারকরা বলছেন, তাদের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তা ঠেকাতে রপ্তানিমূল্য বাড়ানো হয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ারিং স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘গত মাস থেকে ভারতে পেঁয়াজের সঙ্কট চলছিল। দক্ষিণ ভারতের নতুন পেঁয়াজের আগমনও পেঁয়াজের মূল্য কমাতে পারেনি। ফলে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করে ভারতের স্থানীয় বাজার ঠিক রাখতেই সরকারের পরামর্শে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে ন্যাফেড।’ নতুন মূল্যে পেঁয়াজ রপ্তানির নির্দেশনা দিয়ে একটি ফ্যাক্স বার্তা রোববারই কোলকাতা থেকে পেট্রাপোল এলসি স্টেশনে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কার্ত্তিক চক্রবর্তী।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।