সকল মেনু

নির্যাতিত নারীদের পাশে সাংবাদিক আপেল

unnamed মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ২৮ জুন:  বিগত ১০ বছর ধরে বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রতিরোধ, এলাকায় এলাকায় এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও নির্যাতিত নিপীড়িত নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ন্যায্য অধিকার পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করছেন যে মানুষটি তিনি হলেন সাংবাদিক আপেল বসুনীয়া। নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার অনেকেই তাকে বাল্যবিবাহ বন্ধের সাংবাদিক হিসাবে চেনেন। ডোমার উপজেলার বাল্যবিবাহের সংবাদ পেলেই সাংবাদিক আপেল ছুটে যান ঘটনাস্থ’লে, শিশু বিবাহ বন্ধের চেষ্টা করে অনেক বিয়ে বন্ধ করেছেন তিনি। এ কাজের স্বীকৃতি হিসাবে তিনি ইউ.এস.এস ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সৌজন্যে ডোমার উপজেলার সেরা প্রতিবেদক হিসাবে স্থান পাওয়ায় মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১৩ ও ২০১৪ পান।
এরপর ২০১১ সালে ডোমার উপজেলা গার্ল পাওয়ার প্রকল্প চালু হলে এ প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার মঞ্জুরুল ইসলাম আপেল এর বাল্যবিবাহ বন্ধে যে ভুমিকা রেখেছেন তার জন্য তাকে খুজে নেন এবং পরিচিত হন। তাকে নিয়ে তিনি অনেক বাল্য বিবাহ, যৌতুক, নির্যাতিত নারী সহ বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে গার্ল পাওয়ারের সিভিল সোসাইটি অরগানাইজেশন (সিএসও) সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং কেতকীবাড়ী ভোগডাবুরী ও গোমনাতী ইউনিয়নে ইউ.এন.ও, পুলিশ প্রশাসন ও গার্ল পাওয়ার প্রকল্পের সহায়তায় ১৭টি শিশু বিবাহ বন্ধ করেন। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নীলফামারী ইউনিট কমিউনিকেশনস্ কো-অর্ডিনেটর আসাদুজ্জামান রাসেল বলেন ডোমার উপজেলার সময়ের সাহসী সাংবাদিক হিসেবে তার অবদান স্মরণীয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top