সকল মেনু

বঙ্গবন্ধুর ঘাতক রশিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক- কুমিল্লা, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১৫ জুন : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সপরিবার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের কর্নেল (অব.) আবদুর রশিদ খন্দকারের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রোববার সরকারের পক্ষে কুমিল্লা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোলের নির্দেশে এবং চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) উপস্থিতিতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আবদুর রশিদ খন্দকারের নিজ বাড়িসহ ৬.১২ একর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ছয়টি সাইনবোর্ড সাঁটায় চান্দিনা থানা পুলিশ।
চান্দিনা থানার এসআই সাজেদুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দায়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দেশিত স্মারক মোতাবেক চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল (অব.) আবদুর রশিদ খন্দকার ও তার বাবা আবদুল করিমের সব ওয়ারিশদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এসআই সাজেদুল আরো জানান, ওই সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চান্দিনা থানার ওসিকে দায়িত্ব প্রদান করে বিজ্ঞ আদালত। ওই নির্দেশ মোতাবেক রোববার ছয়ঘরিয়া-করতলা-পানিপাড়া ও থানগাঁও মৌজার ৬.১২ একর সম্পত্তিতে ‘তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সরকারের বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি, ওই সম্পত্তিত্বে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ’ লেখা সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী আফরোজ, থানার ওসি রসুল আহমেদ নিজামী, ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর একইভাবে আদালতের নির্দেশে রশিদের আরো ১০.৮২ একর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। রশিদ ও তার পরিবারের প্রায় ১৭ একর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকার।
চান্দিনার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রসুল আহমেদ নিজামী জানান, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এখন থেকে ওই সব সম্পত্তি তদারকি করবে চান্দিনা থানা পুলিশ।
যদি কোনো জনগণ ওই সম্পত্তিতে অনাধিকার প্রবেশ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বুক ফুলিয়ে চলছিলেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুর রশিদ খন্দকার।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আত্মগোপনে চলে যায় বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশিদ। সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আত্মগোপন করে।
২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার গঠন করার পর কর্নেল রশিদের পরিবার আবারও সক্রিয় হয়ে উঠে। মেয়ে মেহনাজ রশিদ খন্দকার গ্রামের বাড়িতে যাতায়াতসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে শুরু করেছিল। জন-সমর্থন অর্জনসহ আইনি জাল থেকে রক্ষার উদ্দেশে ওই বাড়িতে জনস্বার্থে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার চালু করেন মেহনাজ। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে মেহনাজ রশিদ নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আবারও পিছু হটতে শুরু করে কর্নেল আবদুর রশিদের পরিবার।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top