সকল মেনু

তিস্তার পানি বিপদসীমার উপরে ; পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ

unnamed মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ১৪ জুন: ভারী বর্ষণের সাথে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদী রাুসী রুপ ধারন করেছে। তিস্তা পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার প্রায় ৪ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তার ভাটী অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত তিন দিন থেকেই তিস্তায় পানি বেড়ে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছিল। তিস্তা জিরো পয়েন্টের একাধিক সূত্র জানায়, প্রচন্ড শব্দে কাদা পানি আছড়ে পড়ছে তিস্তায়। উজানে ভারী বর্ষণের ফলে গজলডোবা ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়েছে পড়শী দেশ ভারত। পাউবোর সূত্রগুলি জানায়, তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের  গ্রামগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে হাটু থেকে কোমড় পানিতে ডুবে গেছে ছোটখাতা, পশ্চিম বাইশপুকুর, পূর্ব বাইশপুকুর, কিসামত ছাতনাই, পূর্বছাতনাই ঝাড়শিঙ্গেরশ্বর, বাঘেরচর, টাবুর চর, ভেন্ডাবাড়ী, ছাতুনামা, হলদিবাড়ী, একতারচর, ভাষানীর চর, কিসামতের চর, ছাতুনামাসহ এর আশপাশের চরে অবস্থিত গ্রামগুলি। ফলে পানিতে আটকা পড়েছে এসমস্ত গ্রামের ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ। অপরদিকের অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি করা ছোটখাতার সুপরীটারী গ্রামের বালির বাঁধ তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে গত শুক্রবার রাতে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পনা মতো কাজ না করায় মৌসুমের শুরুতেই বাঁধটি বিধস্ত হয়। পাউবোর ডালিয়া ডিভিশন সূত্র জানায়, তিস্তার গতিবিধি সার্বনিকভাবে পর্যবেন করা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্কবস্থায় রাখা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top