সকল মেনু

ভ্যাপসা গরমে যশোরে তালপাতার পাখার কদর বেড়েছে

unnamedযশোর প্রতিনিধি: ভ্যাপসা গরমে যশোরে তালপাতার পাখার কদর বেড়েছে। শহরের মূদি দোকান থেকে গ্রাম গঞ্জের চায়ের দোকানে বিক্রি হচ্ছে তালপাতার হাতপাখা। বৈদ্যুতিক পাখার পাশাপাশি হাতপাখা রাখছেন জেলার বেশির ভাগ মানুষ।  পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যের জন্য শহরের বাসিন্দারা দেদারসে কিনছেন এই পাখা। পরিচ্ছন্ন, সুদৃশ্য একেকটি হাতপাখা শহরে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। আবার গ্রাম অঞ্চলে তা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে। সাধ্যের মধ্যে তালপাতার পাখা পাওয়ায় তা দিয়ে এই গরমে শরীর মন দুই জুড়োচ্ছে।
চারা তালগাছ থেকে হাতপাখার উপযোগী পাতা গুলোকে ডাঁটা সমেত সংগ্রহ করে তা ভারী কিছু চাপা দিয়ে রোদে রাখা হয়। কয়েকদিন পর চাপেরাখা শুকনো তালপাতা গুলোকে পাখার সাইজ করে কেটে রাখা হয়। এরপর বাশেঁর সরু বেতি দিয়ে সেগুলোর পাশ বেড়ি আকারে সাজিয়ে সুচ সুতো দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়। পরে কাঁচি দিয়ে কেটে পাখার আকৃতি দেওয়া হয়। তারপর তালপাতার ডাঁটাগুলো পরখ করে দেখা হয়। পাখার ডাঁটা মজবুত থাকলে সেগুলোকে সামান্য রং লাগানোর জন্য সাজিয়ে রাখা হয়। সুচ সুতো দিয়ে বাধার পর যে ডাঁটা গুলো দুর্বল চিহ্নিত হয় সেগুলো ছেঁটেফেলে বাশেঁর মসৃন চেরাই পাত পাখার হাতল হিসেবে শক্ত করে সেঁটে দেওয়া হয়। পরে সব গুলোকে রং লাগিয়ে অল্প শুকানোর পর একেকখানা তালপাতার পাখা তৈরি হয়। এরপর শুরু হয় পাখা বিক্রির পালা।
যশোর জেলার প্রায় সবকটি উপজেলার মফঃস্বলের গ্রামগুলোতে তালপাতার পাখা তৈরির কথা জানা যায়। তবে অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলার কয়েক গ্রামের বেশ কিছু পরিবার বংশ পরম্পরায় তালপাতার পাখা তৈরি করে চলেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top