সকল মেনু

দৌলতপুরে স্কুলছাত্রী গণধর্ষনের শিকার দুই ধর্ষক গ্রেপ্তার

কাঞ্চন কুমার,কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে দুদিন আটকে রেখে তিন লম্পট পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। এ ব্যাপারে গণধর্ষনের শিকার ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেছে। পুলিশ দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের শ্যামপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের এক দিন মজুরের কন্যা ও শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী (১৪) কে খলিশাকুন্ডি মালিথাপাড়া গ্রামের আজমল মালিথার ছেলে দুই সন্তানের জনক লম্পট আশরাফুল (৩২) সম্প্রতি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ঐ স্কুলছাত্রী প্রথমে রাজি না হলেও এক পর্যায়ে রাজি হলে লম্পট আশরাফুল বৃহস্পতিবার রাতে তাকে বিয়ে করবে বলে বাড়ি সামনে থেকে আশরাফুলের সহযোগী শ্যামপুর গ্রামের দিদার আলীর ছেলে বিশুর (৩৭) মোটর সাইকেলে করে তার আরেক সহযোগী খলিশাকুন্ডি দোকান পাড়া গ্রামের খলিল ঠাকুরের ছেলে শরিফুলের (৩০) বাড়িতে নিয়ে যায়। ঐ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তিন লম্পট পালাক্রমে ঐ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরদিন তাকে কুষ্টিয়া জেলা সদরে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাত বাড়িতে তার উপর একইভাবে নির্যাতন চালানো হয়। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় ঐ স্কুলছাত্রীকে কুষ্টিয়া থেকে নিয়ে আসার পথে মিরপুর গো-হাটের কাছে ফেলে লম্পটরা পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে স্কুলছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা লম্পট আশরাফুল ও শরিফুল কে ধরে মিরপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করে। মিরপুর থানা পুলিশ অনুসন্ধান শেষে শনিবার রাতে তাদের দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করে। গণধর্ষনের শিকার স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে শনিবার রাতেই দৌলতপুর থানায় মামলা করেছে। দৌলতপুর থানার ওসি জাহির হোসেন জানান, থানায় মামলা দায়েরের পর স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রবিবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top