সকল মেনু

কোলকাতা-ঢাকা-আগরতলা যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু

unnamedযশোর প্রতিনিধি: গত রাত থেকে কোলকাতা-বেনাপোল-ঢাকা-আগরতলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক বাস চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধা টায় কোলকাতা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসটি রাত ১১ টা ১০মিনিটে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
গতকাল বিকেল ৩ টা ৪৫ মিনিটে কোলকাতার ‘নবান্ন’ থেকে বাস পরিসেবার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরীক্ষামুলক এই বাস সার্ভিসে প্রথম যাত্রী হিসেবে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবাসন, গৃহায়ন ও যুবসমাজ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস নের্তৃত্বে সংসদ সদস্য, পরিবহন, প্রশাসনের কর্মকতা ও সাংবাদিকদের ৩৫ প্রতিনিধি দল। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে যোগ দিতে পারেন তারা।
বাসটি পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে বেনাপোল চেকপোস্টে তাদেরকে ফুল দিয়ে সুভেচ্ছা জানান যশোর ১ ও ২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম মনির, বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম, বেনাপোল কাষ্টম কশিশনার এ এফএম আব্দুলাহ খান, বাংলাদেশ স্থল বন্দও কতৃৃপক্ষের সদস্য আমিনুর রব চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসক ডঃ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, বেনাপোল শুল্কভবনের অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক)আব্দুল জলিল ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম শরিফুল আলম।
দু’দেশের কর্মকর্তারা জানান, ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতে আগামী ৬ জুন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ঢাকায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বানিজ্যিক ভাবে এই বাস সার্ভিস চালু হবে। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা পর্যন্ত বাস চলাচল করবে। রাতে বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে বেনাপোল ছেড়ে গেছে। রাতে ঢাকায় অবস্থান করে আগামী কাল (শুক্রবার) সকালে আখাউড়া হয়ে বাসটি আগরতলায় যাবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবাসন, গৃহায়ন ও যুবসমাজ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন, বাসটি দু’দেশের মধ্যে সোহার্দ্য সম্প্রতি বাড়াবে। দেশের প্রশাসন, পরিবহন সেক্টর ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয় সহ সংশ্লিষ্টরা বসেই এই রুটের যাত্রীদের ভাড়া ঠিক করবেন।
১২তারিখের পর থেকেই বাসটি নিয়মিত চলাচল করতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, আগরতলা থেকে আসাম ঘুরে কোলকাতা পৌঁছাতে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। অথচ বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে আগরতলা যেতে মাত্র ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই খুব কম সময়ে, সামান্য খরচেই ত্রিপুরার মানুষ আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কোলকাতা যেতে পারবেন। যশোর জেলা প্রশাসক ডঃ হুম্য়াুন কবির বলেন, বাসটি যাত্রীদের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে। অল্প সময়ে স্বল্প খরচেই বাসটিতে গন্তব্য স্থানে যাত্রীরা পৌছাতে পারবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top