সকল মেনু

কবরস্থান-সড়ক ও খেলার মাঠ ধ্বংস করে সৈয়দপুর কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণ!

unnamed মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ২৯ মে: কবরস্থান,সড়ক ও খেলার মাঠ ধ্বংস করে অবশেষে তৈরী হচ্ছে সৈয়দপুর ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন। পাশাপাশি নিন্মমানের মাঠ নির্মান সামগ্রী ব্যবহারে এ ভবনটি নির্মান হলেও দেখার যেন কেউ নেই। এতে মাঠ হারিয়ে শিক্ষর্র্থী ও সাবেক খেলোয়াড় এবং ড্রেজিংয়ে কবরস্থান ও এ এলাকার একমাত্র প্রাচীন সড়কটি ধ্বসে পড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই মাঠটি রক্ষায় ভিন্ন স্থানে একাডেমিক ভবন নির্মানের  জোর দাবি জানান কলেজটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্র্থী খেলোয়াড় সহ এলাকাবাসী।
জানা যায়, ১৯৫৩ সালে প্রায় ১৩ একর জায়গা বরাদ্দ নিয়ে নির্মান করা হয় সৈয়দপুর মহাবিদ্যালয়। এর মধ্যে প্রায় ৫ একরের ওপর নির্মান করা হয় কলেজের পাঠদান ভবন এবং ক্যাম্পাস। এতে কলেজের পিছনের বিশাল অংশ পড়ে থাকে।  এর মধ্যে দেড় একরের ওপর খেলার মাঠ তৈরী করা হয়। এ পতিত জমির পার্শে¦ই রয়েছে সৈয়দপুর কলেজ এর  ১১ নং ওয়ার্ডের কুন্দল গ্রামবাসীর কবর স্থান। আবার এ গ্রামটির ডাংগা পাড়া ও পশ্চিম পাড়ার একমাত্র প্রাচুীন সংযোগ সড়কটি এ কলেজ ক্যাম্পাসের পাশ দিয়ে অবস্থি’ত।
তবে কলেজের প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ এ মাঠেই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদ্প্তর হতে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার বরাদ্দে দ্বিতীয় তলা ভবন বিশিষ্ট একটি একাডেমি ভবন নির্মান শুরু করেন চলতি মাসে।
সৈয়দপুর কলেজের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের একমাত্র মাঠটির পূর্ব অংশে গোল পোষ্ট মাটিতে ফেলে দ্বিত্বল ভবন নির্মান কাজ চলছে। ৫০ গজ পার্শ্বে পুকুরে ড্রেজার বসিয়ে বালি এবং নেটিং ছাড়াই ইটের খোয়ার  সিমেন্ট মিশ্রনে চলছে ঢালাইয়ের কাজ। এতে পুকুর সংলগ্ন এলাকাবাসির যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি ও কবর স্থানটি ধ্বসে পড়ছে।
সবুর, মোকছেদ, গেদা, জহুরুল ইসলাম খোকন, মোস্তফা ফিরোজসহ এ কলেজের হয়ে আন্ত কলেজ প্রতিযোগিতায় এ্যথলেটের নানা ইভেন্টে জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য বয়ে আনা এ সকল খেলোয়াড় জানান, যে মাঠে অনুশীলন করে জাতীয় পর্যায়ে খেলে এ অঞ্চলের গৌরব বয়ে এনেছি আমরা। সে মাঠটিই কি-না আজ হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ কত সুখময়  স্মৃতিই না আছে এ মাঠটিকে ঘিরে। এ কথাগুলো বলতে বলতে এ সকল সাবেক ্এ্যাথলেটরা হতাশায় পড়েন। বর্তমানে এমনিতেই কোন খেলা নেই তার ওপর এ স্মৃতিময় মাঠটি হারিয়ে গেলো। এখন এ জনপদের ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্য শুধু  অতিত হয়ে রইল। তাই তাদের দাবি অন্তত খেলার স্বার্থে একটি নতুন মাঠ দিয়ে এ মাঠে ভবন নির্মান করত তাহলে রক্ষা পেত এ কলেজের ক্রীড়াঙ্গন। সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকাবাসিও এ মাঠে ভবন নির্মান করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা ডাঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিশাল এ কলেজের ক্যাম্পাস থাকা সত্ত্বেও কিভাবে কবর স্থান, প্রাচীন কালের একটি সড়ক ও এতীহ্যবাহী কলেজের খেলার মাঠসহ অনেক কিছুর ক্ষতি করে একাডেমি ভবন করছেন তা বোধগোম্য নয়। তবে শেষে কলেজ কর্তৃপক্ষ না মানলে অবশ্যই আমরা এর বিরুদ্ধে যথযথ আইনত ব্যবস্থা নেব।  এদিকে, ভবনটি নির্মানে কাঁদাময় বালু ,নিটিং ছাড়া ইটের খোয়ার মিশ্রনে ঢালাই করে ভবনটির নির্মান কাজ চললেও কেউ যেন দেখার নেই। নাম প্রকাশে অনি”ছুক এক ঠিকাদ্বারি প্রতিষ্ঠান জানান
তবে নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল ইসলাম নি¤œ মানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে এ ভবন তৈরীর বিষয়টি অস্বী^কার করে বলেন, কাজ সিডিউল মতেই হচ্ছে। আর মাঠ, কবরস্থান ও সড়ক ধ্বংস করে ভবন প্রসংঙ্গে সৈয়দপুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আব্দুল হাফিজ বলেন, আমরা অন্যত্র মাঠ বানানোর চিন্তা করছি। কবর স্থান এবং সড়ক ধ্বসে পড়ার বিষয়ে করার কিছুই নেই। আর ভবন নির্মান বিষয়টি আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়। এটি গর্ভনিং বডির ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top