সকল মেনু

চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী রোববার ঢাকায় আসছেন

Chin_sm_739423571নিউজ ডেস্ক : তিন দিনের সরকারি সফরে রোববার ঢাকায় আসেছ চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী (ভাইস প্রিমিয়ার) লিউ ইয়ানডং । বিকেল ৫টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
বাংলাদেশে লিউয়ের সম মর্যাদার কোনো পদ না থাকায় সফরকালে তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক হচ্ছে না।
তবে তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে পৃথকভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। মূল আলোচনা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে।
সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানা গেছে। সরকারি খাতে সই হবে তিনটি চুক্তি এবং অপর তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বেসরকারি খাতে।
সরকারি খাতে শিক্ষা, তথ্য ও শুল্কবিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। বেসরকারি খাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে।
এ ছাড়াও চীনের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন বাংলাদেশ সফরে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ এবং শাহজালাল সার কারখানা প্রকল্পে চীনের অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা হওয়ারও কথা রয়েছে।
আলোচনায় চীনের অর্থায়নে বঙ্গপোসাগরে সোনাদিয়ায় প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বিষয়টিও উঠে আসবে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য লিউ ইয়ানডং দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী রাজনীতিবিদ।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোতে দু’জন মাত্র নারী সদস্য রয়েছেন যার একজন লিউ।
২০১৩ সালের ১৬ মার্চ তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন। তার এ সফরে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সফরকালে যেসব বড় প্রকল্পে কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব সই হবে সে বিষয়ে প্রাক-আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ও চীন চলতি বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর উদযাপন করছে। এ উপলক্ষে নানামুখী যে ধরনের কার্যক্রম চলছে তার অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বরে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ওই সময় কর্ণফুলী টানেলের উদ্বোধন করতে পারেন তিনি। তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলতি বছরেই চীন সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন বাংলাদেশ সফরে চীনের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর (বিসিআইএম-ইসি) নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ এ করিডরের প্রস্তাবকে জোরালোভাবে সমর্থন করে। পাশাপাশি মিয়ানমারের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যায়।
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ অনুরোধ জানাতে পারে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়ে থাকে। তার মধ্যে চীন থেকে আমদানির পরিমাণই বেশি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top