সকল মেনু

এফবিসিসিআই নির্বাচন : তিন প্যানেলে প্রার্থী যারা

FBCCI-logoনিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ২০১৫-১৭ মেয়াদের নির্বাচনে তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে তিনটি প্যানেল হলো- নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদের নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন পরিষদ, বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীর নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ এবং সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসাইন-ড. কাজী এরতেজা হাসান ও শাফকাত হায়দারের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ।
জানা গেছে, প্রতিটি প্যানেলে ‘চেম্বার গ্রুপ’ ও ‘অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ’ নামে ব্যবসায়ীদের দুটি অংশ থাকে। তবে এবারের নির্বাচনে শুধুমাত্র উন্নয়ন পরিষদ প্যানেলে দুইটি গ্রুপ থাকলেও অন্য দুই প্যানেলে রয়েছে একটি করে গ্রুপ। এদের মধ্যে স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলে রয়েছে শুধুমাত্র ‘চেম্বার গ্রুপ’। আর ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেলে রয়েছে ‘অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ’।
সূত্র আরো জানায়, এ দুইটি প্যানেল গোপনে একীভূত হয়ে পড়ছে। আগামীতেও যৌথভাবে বোর্ড গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা। তিনটি প্যানেলে প্রার্থী যারা রয়েছে তারা হলেন-
উন্নয়ন পরিষদের প্যানেল :
মাতলুব আহমাদের নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন পরিষদের প্যানেলে চেম্বার গ্রুপ থেকে মনোনীত প্রার্থীরাদের ১৬ সদস্য বিশিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে আছেন- এফবিসিসিআইর বর্তমান সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং অ্যাসোসিয়েশনের আবু মোতালেব, পেপার ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের মো. সফিকুল ইসলাম ভরসা, ফার্নিচার এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের কে এম আকতারুজ্জামান, গ্রে অ্যান্ড ফিনিসড ফ্যাব্রিক্স মিলস এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের হারুন-অর-রশিদ, প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের রাব্বানী জব্বা, ইলেকট্রি মার্চেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এনায়েত হোসেন চৌধুরী, রিকন্ডিশন ভেহিকল ইমপোর্ট অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের মো. হাবিব উল্ল্যাহ ডন, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প অ্যাসোসিয়েশনের শোয়েব চৌধুরী, আউটসোর্স অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মো. আবু নাসের, বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের মো. মুনতাকিম আশরাফ, মো. নিজাম উদ্দিন রাজেশ, বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. আমিন হেলালী।
এদিকে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট চেম্বার গ্রুপে আছেন- বাংলাদেশ ওমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের হাসিনা নেওয়াজ, মেহেরপুর চেম্বারের নাগিবুল ইসলাম দিপু, ফরিদপুর চেম্বারের মাহবুবুর রহমান খাঁন, গোপালগঞ্জ চেম্বারের শেখ ফজলে ফাহিম, কিশোরগঞ্জ চেম্বারের গাজী গোলাম আসরিয়া, চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, কক্সবাজার চেম্বারের মো. হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, বরিশাল চেম্বারের মো. নিজাম উদ্দিন, গাইবান্ধা চেম্বারের মো. আবুল খায়ের মুরসালিন পারভেজ, সুনামগঞ্জ চেম্বারের মো. নুরুল হুদা মুকুট, নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের মো. বজলুর রহমান, ময়মনসিংহ চেম্বারের মো. আমিনুল হক শামীম, নরসিংদী চেম্বারের প্রবীর কুমার সাহা, ফেনী চেম্বারের এ কে এম সাহিদ রেজা, জামালপুর চেম্বারের রেজাউল করিম রেজনু ও গাজীপুর চেম্বারের মো. আনোয়ার সাদাত সরকার।
স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ :
১৬ সদস্য বিশিষ্ট চেম্বার গ্রুপের এ প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার থেকে মনোয়ারা হাকিম আলী, সাতক্ষীরা চেম্বারের আবুল কাসেম আহমেদ, লক্ষ্মীপুর চেম্বারের দেওয়ান সুলতান আহমেদ, কুষ্টিয়া চেম্বারের বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, মুন্সিগঞ্জ চেম্বারের মোহাম্মাদ কোহিনুর ইসলাম, মানিকগঞ্জ চেম্বারের তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু, শেরপুর চেম্বারের মোহাম্মদ মাসুদ, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের হাসিন আহমেদ, জয়পুরহাট চেম্বারের মোহাম্মদ আমিনুল বারী, নড়াইল চেম্বারের মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, কুমিল্লা চেম্বারের মাসুদ পারভেজ খান (ইমরান), ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের তানজিল আহমেদ, নেত্রকোনা চেম্বারের হুমায়ুন রশিদ খান পাঠান (রোমেন), নীলফামারী চেম্বারের আব্দুল ওয়াহেদ সরকার, বরিশাল উইমেন চেম্বারের আঞ্জুমান সালাউদ্দিন এবং রাঙ্গামাটি চেম্বারের রেজা শাহ ফারুক।
ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ :
ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ ইন্ডেন্টিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন, বাংলাদেশ কনক্রিট অ্যান্ড ব্লক ম্যানুফেকচারার্স সমিতির ড. কাজী এরতেজা হাসান, বাংলাদেশ কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং সমিতির সাফকাত হায়দার, বাংলাদেশ ফোর স্ট্রোকস সিএনজি অটোরিকশা অ্যান্ড থ্রি হুইলার মোটরবাইক মালিক সমিতির খোন্দকার রুহুল আমীন, এসএমই ওনার্স সমিতির আলী জামান, বুটিক হাউজ মালিক সমিতির ব্যারিস্টার জাকির আহমদ, বাংলাদেশ সাবকন্ট্রাকটিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আসলাম আলী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন জামিউল আহমেদ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ ট্যুর অপারেটস সমিতির এমজিআর নাসিম মজুমদার, এসিড মার্চেন্ট সমিতির মোহাম্মদ উল্লাহ পলাশ, বাংলাদেশ মাস্টার স্টিভডোরস সমিতির মোহাম্মদ ইব্রাহীম, বাংলাদেশ ডিম উৎপাদন সমিতির তাহের আহমদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ফুটওয়ার এবং ফুটওয়ার এক্সেসরিজ আমদানিকারক সমিতির কাজী মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন, বাংলাদেশ অটো স্পেয়ার পার্টস অ্যাসোসিয়েশনের আবুল আয়েস খান, বিউটি পার্লার মালিক সমিতির মাহমুদা মোস্তাকিমা রুবি এবং বাংলাদেশ স্টিল মিলস মালিক সমিতির মিজানুর রহমান বাবুল।
প্রসঙ্গত, এবারে নির্বাচনে অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার থেকে ১৬ জন করে মোট ৩২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে আরো ২০ জন মনোনীত পরিচালকসহ ৫২ জন নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের বোর্ড গঠিত হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী শনিবার পরিচালক নির্বাচনের পর ২৫ মে সভাপতি, প্রথম সহ-সভাপতি এবং একজন সহ-সভাপতি নির্বাচিত করবেন। নির্বাচনে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের মোট দুই হাজার ১৯৩ জন সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এর মধ্যে দেশের ৭৮টি চেম্বার থেকে ৪৩০ জন ও ৩৫৫টি অ্যাসোসিয়েশন থেকে এক হাজার ৭৬৩ জন ভোটার রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top