এস,আই মল্লিক, ঝিনাইদহ থেকে: দেশীয় রসালো লিচুতে ভরপুর হয়ে গেছে ঝিনাইদহ জেলার প্রতিটি উপজেলার সর্বত্র। জেলা শহরের ফলের দোকান থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ের বাজারগুলোর মোড়ে মোড়ে ব্যবসায়ীরা লিচুর ঝাকা নিয়ে বসে বিক্রি করছেন। আর লাল টুকটুকে লিচু কিনে মনের আনন্দে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। কেউ আবার দোকান থেকেই রসে ভরা টৈ টুম্বুর লিচু খেয়ে তৃপ্তি মেটাচ্ছেন। জানা যায়, রাজশাহী অঞ্চলের লিচু স্বাদে-গন্ধে উন্নতমানের হলেও এই এলাকার লিচুর স্বাদে কমতি নেই। আগে ভাগে বাজারে আসার কারণে লিচুর চাহিদা অনেক বেশি। প্রতি ১০০ পিচ লিচু বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৪০ টাকা দরে। জেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক লিচু বাগান। এসব লিচু বাগানে বিগত কয়েক বছরের তুলোনায় এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলে সাধারণত ৩ ৪ প্রজাতির লিচু গাছ আছে। যার মধ্যে চায়না-৩, দেশীয় বুম্বায় ও মোজাফ্ফর লিচু অন্যতম। আবার এর মধ্যে চায়না-৩ ও মোজাফ্ফর লিচু গাছের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এর ফলনও অনেক বেশি। এই চার প্রজাতির লিচুর মধ্যে সবার আগে দেশীয় লিচু পেকে যায়। যে কারণে ব্যসায়ীরা এ সমস্ত লিচু সবার আগে বাজারে আমদানি করতে পারছেন। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা অন্যান্য জাতের লিচু অপেক্ষা মোজাফ্ফ লিচু বেশি দামে বাজারে বিক্রয় করছেন। কারণ দেশীও চায়না ও বোম্বায় লিচু থেকে মোজাফ্ফর লিচু আকারে বড় এবং সুস্বাদু। সরজমিনে গিয়ে লিচু বাগান ঘুরে দেখা গেছে বাগানের প্রায় প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় ঝুলেছে পাকা লিচু। জালের ফাকে ফাকে লাল রঙের লোভনীয় টসটসে দেখলে খেতে ইচ্ছা করে। বাদুর ও কাকের উপদ্রপ থেকে লিচুর গাছ রক্ষা করতে বসানো হয়েছে বাসের পটকা বা টিনের তৈরি বাজানো সহজাল দিয়ে ঘিরে উচ্চ স্বরে শব্দ করে তাড়ানো হচ্ছে কাক ও বাদুর। রাতের বেলায় বাগানে জালিয়ে দেয়া হচ্ছে বৈদ্যুতিক বাতি ফলে কোটচাঁদপুরের প্রতিটি লিচু ব্যবসায়ীর মাঝে বিরাজ করছে আনান্দ উৎসবের আমেজ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।