সকল মেনু

গাছে বেঁধে নির্যাতন: দোষীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

HCনিউজ ডেস্ক : একটি রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।
দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না- সে বিষয়ে আগামী ১৮ মে জেলা প্রশাসক ও নড়াইল থানার ওসিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনওসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউমেন রাইটাস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ হাই কোর্টে এই রিট আবেদন নিয়ে আসে।
আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
মনজিল মোরশেদ জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কেন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানাতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত।
রিট আবেদনের সঙ্গে কয়েকটি পত্রিকায় ওই নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুলিপিও যুক্ত করা হয়।
এসব প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালবরাত গ্রামে গৃহবধূ ববিতা খানমকে (২১) চুরির অভিযোগে গত ৩০ এপ্রিল গাছের সঙ্গে বেধে লাঠি দিয়ে পেটায় তার স্বামী সেনা সদস্য শফিকুল শেখ, ভাসুর হাসান শেখ, শ্বশুর ছালাম শেখ, শাশুড়ি জিরিন আক্তার, চাচাশ্বশুর কালাম শেখ, প্রতিবেশী নান্নু শেখ ও কাশিপুর ইউপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান আরজু।
নির্যাতনের এক পর্যায়ে ববিতা সংজ্ঞা হারান। ওই অবস্থায় তাকে বাজারে নিয়ে একটি দোকানে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় ববিতার মা খাদিজা বেগম গত ৫ মে লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শফিকুলের চাচা হিরু মিয়াসহ (৩৮) দুজনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top