সকল মেনু

যশোর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কে নির্যাতনের অভিযোগ

 unnamedযশোর প্রতিনিধি: যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সোহাগকে রাতভর আটক করে নির্যাতন চালিয়েছে কোতয়ালি থানা পুলিশ। এতে তার মাথা ফেটে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। এর আগে রবিবার রাত আড়াইটার দিকে তাকে ঘোপ সেন্ট্রাল রোডস্থ কবরস্থান পাড়ার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আটকের পর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের কাছে আটকের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে। দুপুরে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সোহাগের বাবা জামাল মিয়া জানান, তার ছেলের নামে কোন মামলা কিম্বা অভিযোগ নেই। পুলিশ তাকে হয়রাণি করার জন্য আটক করেছে। শত্রুতা করে তার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। তিনি আরও জানান, রাতে কোতয়ালি থানার ওসি সিকদার আক্কাস আলী নিজে এসে শফিকুল ইসলাম সোহাগকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তার খোজে থানায় গেলে পুলিশ তার বিষয়ে কিছু জানে না বলে জানায়। এ ঘটনার পর তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করা হয়। এক পর্যায়ে জানতে পারেন তাকে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির রান্না ঘরে আটক করে রাখা হয়েছে। সেখানে তার উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতনে তার মাথা ফেটে গেছে। তার মাথা ফেটে গেলেও তার কোন চিকিৎসা না করিয়ে সারারাত রান্না ঘরের জানালায় হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে রাখা হয়। আজ দুপুরে এলাকার লোকজন ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফাঁড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ করলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সোহাগের আটকের বিষয়ে সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ জানান, ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ অন্যায়-অপরাধ করলে আইনের কাঠ গড়ায় দাড় করাবে। তারা তো কোন নির্যাতন করতে পারে না। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে।এ প্রসঙ্গে কোতয়ালি থানার ওসি সিকদার আক্কাস আলী জানান, রবিবার রাতে শহরের বেজপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও আওয়ামী লীগ নেতা মহাসীনের উপর হামলার ঘটনায় আটক করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top