সকল মেনু

বাস প্রতীকে খালেদা কোন মুখে ভোট চান? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

PM_banglanews24_913437326 স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: এতোদিন বাস পুড়িয়ে, পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে খালেদা জিয়া এখন কোন মুখে বাস প্রতীকে ভোট চাইছেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতোদিন ককটেল, পেট্রোল বোমা বিলি করেছেন। এখন আবার তিনি ভোট চেয়ে লিফলেট বিলি করছেন।

রোববার (১৯ এপ্রিল) কৃষক লীগের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা  বলেন।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাওয়ায় খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাস পুড়িয়ে খালেদা জিয়া কোন মুখে এখন আবার বাস মার্কা নিয়ে ভোট চাইতে নামেন? পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে কিভাবে তিনি মানুষের কাছে ভোট চান?

হরতাল-অবরোধের সহিংসতায় আবদুল আউয়াল মিন্টু সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার টাকায় সবচেয়ে বেশি বাস পোড়ানো হয়েছে। আবদুল আউয়াল  মিন্টু হরতাল-অবরোধের সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন। আর খালেদা জিয়া বাস মার্কায় ভোট চাইছেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থী হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু। নির্বাচন কমিশনে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও তার বড় ছেলে তাবিথ আউয়ালের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তাবিথ আউয়াল ঢাকা উত্তরে বাস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। খালেদা জিয়ার তাবিথের পক্ষে বাস মার্কায় ভোট চান।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণায় খালেদা জিয়া অংশ নেওয়ার খবর গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ককটেল, পেট্রোল বোমা মারলে হেডলাইন হয়। তাদের উন্নয়ন পছন্দ হয় না। যাকে জাতি ঘৃণা করে সে আবার পাবলিসিটি পায়। যে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে মানুষ তাকে ঘৃণা করে। সে ঘৃণ্য। ৬ ঋতুর দেশ বলে সবাই কি এতো সহজে ভুলে গেছে ৩ মাসের সহিংসতার কথা, ক্ষয়ক্ষতির কথা।

সহিংস আন্দোলন ও খালেদা জিয়ার ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া অফিসে বসে থাকলেন। আমি এটার কোনো রহস্য এখনো বুঝলাম না। সরকার উৎখাত না করে উনি নাকি ঘরে ফিরবেন না। এখনতো উনি ঘরে ফিরে গেলেন।

সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বাসে আগুন দিয়ে, পেট্রোল বোমা দিয়ে ১৫০ জনের মতো মানুষ পুড়িয়ে মারলেন। আরো শত শত মানুষ পোড়া যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছে। এসবের জন্য খালেদা জিয়াকে একদিন জবাব দিতে হবে।

ক্ষয়-ক্ষতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে তিনি কৃষক, শ্রমিক-জনতা সব মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়া কৃষক, শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরেছে।

বিএনপি আমলে সার সংকটের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের কৃষক তাদের কাছে সার চেয়েছে আর কিছু না। অথচ তাদের সার না দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৮ জন কৃষককে হত্যা করা হয়েছে। তারা ফসল ফলাতে সার চেয়েছে বিনিময়ে তারা খালেদা জিয়ার গুলি পেয়েছে।

বিএনপি আমলে কৃষি, কৃষকদের দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শুধু ধ্বংসের রাজনীতি করতে জানে। উন্নতি করতে জানে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের মানুষের কল্যাণ হয়। আর বিএনপি আসলে মানুষকে ভাগ্য বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

সার, সেচ, কষি যন্ত্রপাতি, ব্যাংক ঋণ, কৃষি উপকরণ সরবরাহসহ কৃষির উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

যত লাগবে কৃষকদের জন্য সরকার কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে হবে বলে জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের আর খাদ্য আমদানি করতে হচ্ছে না। ভবিষ্যতে কোনো দেশে দুর্যোগ হলে বাংলাদেশই তাদের খাদ্য পাঠাতে পারবে।

খাদ্য উৎপাদন করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করায় কৃষকদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

কৃষক লীগ সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাবেক খাদ্য মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top