সকল মেনু

জয়পুরহাটের পল্লীতে জামায়াত-শিবিরের হামলায় নারী সহ আহত- ৬

 unnamedএসএস মিঠু ,জয়পুরহাট : জয়পুরহাটের সদর উপজেলার মিটনা-পাটেরপুকুর গ্রামে শনিবার সকাল ১১টায় এক অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমদই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারী  রায়হানের( বর্তমানে আটক রয়েছেন)  বাবা তৈয়বর রহমান ও তার চাচা সুলতানের বাড়িসহ ১টি মুদির দোকানে লুটপাট,ভাঙচুর সহ মোট ৬টি বাড়ি ভাঙচুর এবং ২টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে জামায়াত-শিবির কর্মী ও সমর্থকরা। এ ঘটনায় নারী সহ মোট ৬জন আহত হয়েছেন। আহতদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ দিকে এ ঘটনার জের ধরে বিকালে এলাকার নিরাপত্তা  রক্ষায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জামায়াত-শিবির কর্মী -সমর্থকরা সংঘবদ্ধভাবে তাদের ওপরও অতর্কিত হামলা চালালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গুলি ছুঁড়লে পুলিশের  গুলিতে  গুলিবিদ্ধ হয়ে নজরুল ইসলাম (২৯)ও আহসান হাবিব (২৩)নামে দুই জামায়াত কর্মী  আটক হয়েছেন। পুুলিশী হেফাজতে তাদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত শুক্রবার জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় সশস্ত্র হামলা ও ২০দলীয় জোটের অবরোধ-হরতাল চলাকালে একাধিক নাশকতায় জড়িত, পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামী  -জয়পুরহাট শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী শাহ আলম কে  ওই এলাকা থেকে গ্রেফতারে ডিবি পুলিশকে সহযোগিতা করার জের ধরে নিরীহ গ্রামবাসী ও তাদের বাড়িঘরের ওপর এ হামলা চালানো হয়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ২০১৩সালে পাঁচবিবি থানায় সশস্ত্র হামলাসহ একাধিক নাশকতার মামলার আসামী জয়পুরহাট উপজেলা জামায়াতে সেক্রেটারী শাহ আলমকে জেলার সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মীরগ্রাম বাজার থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এর পর জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মী পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আটক জামায়াত নেতা শাহ আলম কে ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় জামায়াত-শিবিরের হামলায় আহত ডিবি কর্মকর্তাদের চৌমুহনী বাজারে কিছু লোকজন গাড়ীতে উঠিয়ে নিতে সাহায্য করে।আর এ ঘটনার জের ধরে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের ৩শতাধিক কর্মী-সমর্থক দলবদ্ধ ভাবে পাটের পুকুর গ্রামে গিয়ে জমা হয়ে দোকান সহ ৬টি বাড়ীতে ভাংচুর,লুটপাট  ও আগুন দেয়ার নাশকতা  চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি এবং ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মী (দমকল কর্মী)আগুন নিভিয়ে ফেললেও তার আগেই  কয়েকটি বাড়ী ও খড়ের পালা ভষ্মিভুত হয়ে যায় । এর পর পরই জামায়াত-শিবির কর্মী-সমর্থকরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর আকস্মিক  হামলা চালালে  আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছুড়লে নজরুল ইসলাম ও  আহসান হাবিব গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের কে আটকের পর জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) জানান, নাশকতার শিকার ক্ষতিগ্রস্থ কেউ কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। জামায়াত-শিবির কর্মীরা সংঘবদ্ধ ভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এ নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছে। টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং  বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top