সকল মেনু

দর্জীর কাজ করে রিনা বেগম এখন স্বাবলম্বী

unnamedগৌরাঙ্গ লাল দাস,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: দশ বছর আগে দারিদ্রতা যাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেতো,কাইক পরিশ্রমের মাধ্যমে দারিদ্রতাকে জয় করে তিনি এখন স্বাবলম্বী । সাংসারিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে দর্জীর কাজ করে তিনি প্রতি মাসে আয় করছেন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।
সিডর বিধস্ত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কয়খা গ্রামের গৃহবধূ রিনা বেগম।সিডরের আঘাতে সর্বস্ব হারিয়ে স্বামী সন্তান নিয়ে কি ভাবে জীবন যাপন করবেন সে চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েন।এমন সময় ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার মাসুম বিল্লাহের মাধ্যমে খবর পেয়ে ছুটে জান ফাউন্ডেশনের কোটালীপাড়া ইউনিটে। সেখান থেকে তিনি ১০ হাজার টাকা কর্জ নিয়ে একটি সেলাই মেশিন কিনে দর্জীর কাজ শুরু করেন।
রিনা বেগম বলেন, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন থেকে প্রথমে ১০ হাজার টাকা কর্জ নিয়ে সেলই মেশিন কিনে দর্জীর কাজ শুরু করি। আস্তে আস্তে আমার কাজের পরিধি বাড়ে।সর্বশেষ আমার এই কাজের জন্য ফাউন্ডেশনের নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকা কর্জ নেই। আমি এলাকার মহিলা ও শিশুদের পোশাক তৈরি করি।যা আয় হয় তা দিয়ে কর্জের কিস্তি পরিশোধ করে স্বামী সন্তানদের নিয়ে খেয়ে পড়ে ভালো আছি।সিডরের পরে ফাউন্ডেশন থেকে নেয়া ওই ১০ হাজার টাকাই আমার ভাগ্য বদল করে দিয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের কোটালীপাড়া ইউনিটের প্রোগ্রাম অফিসার মাসুম বিল্লাহ বলেন, রিনা বেগম কর্জের টাকা নেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নিয়মিত ভাবে কিস্তি পরিশোধ করে আসছেন। কর্জের টাকা গ্রহন করে সেলই মেশিন কিনে দর্জীর কাজ করে আজ সে স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন।আমারা চাই আমাদের প্রতিটি সদস্য যেন রিনা বেগমের মত পরিশ্রম করে কর্জের টাকা দিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top