সকল মেনু

ওয়ালটন এসিতে এবার ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি

  অথনৈতিক প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.বম: বাড়ছে গরম। বাড়ছে এসি বা এয়ারকন্ডিশনারের কদর। একসময় এসি ছিলো পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে উচ্চমান সম্পন্ন এসি। এমনকি বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও হচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসি। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি সঠিক বিটিইউ সম্পন্ন হওয়ায় এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে দেশের বাজারে এখন চাহিদার শীর্ষে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসি। বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো শর্ত সাপেক্ষে ওয়ালটন দিচ্ছে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। জানা গেছে, খুব শিগগীরই ওয়ালটন এসিতে যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির গোল্ডেন ফিন। পরিবেশবান্ধব এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এসি হবে টেকসই। এতে ময়লা জমবে না এবং বাতাস হবে তুলনামূলক বেশি ঠা-া। এছাড়া ওয়ালটন এসিতে রয়েছে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি এবং ৩ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে এয়ারকন্ডিশনারের বার্ষিক চাহিদা দেড় লাখের কিছু বেশি। পক্ষান্তরে গাজীপুরের চন্দ্রায় স্থাপিত ওয়ালটন কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা বছরে ৩ লাখ। অর্থাৎ চাহিদার প্রায় দ্বিগুন এসি উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে ওয়ালটনের। গেলো বারের তুলনায় এবার বিক্রির টার্গেটও দ্বিগুন। আবহাওয়ার উষ্ণায়নের ফলে এবার মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকেই গরম পড়েছে। বাংলাদেশে গরমে এসির চাহিদা বাড়ে। সে বিষয়টি মাথায় রেখে এবার আগে ভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ওয়ালটন। এবার ওয়ালটন বাজারে এনেছে আকর্ষণীয় ডিজাইন ও মডেলের উচ্চমান সম্পন্ন এসি। ওয়ালটন এসির রয়েছে আরো কিছু বিশেষত্ত্ব। ট্রিপল এ টেকনোলজিতে তৈরি ওয়ালটন এসি তুলনামূলক বিদ্যুত সাশ্রয়ী, এতে রয়েছে শতভাগ কপার টিউব, ডুয়াল মোড হিটিং ও কুলিং অপশন, ডিজিটাল ডিসপ্লে এবং ডিহিউমিডিকেশন মোড। ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার বলেন, গত বছর দেশে গরম পড়েছিলো বেশি। সেসময় হঠাৎ করেই ওয়ালটন এসির চাহিদা ব্যাপকহারে বেড়ে যায়। তখন চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরবরাহ করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয়। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে মজুদের পরিমান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ মৌসুমে ওয়ালটন এসিই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হবে। গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন এসি বিক্রির টার্গেট তাদের। ওয়ালটনের অতিরিক্ত পরিচালক স¤্রাট রায় (হেড অব সার্ভিস) বলেন, ওয়ালটন এসির বিক্রি অনেক বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় সার্ভিস সেন্টারে এসি আসছে অনেক কম। ওয়ালটন এসির মান বেড়েছে বলে গ্রাহকদের সেভাবে সার্ভিস সেন্টারে আসতে হচ্ছে না। মুদ্দা কথা ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে ওয়ালটন এসি। জানা গেছে, বিশ্বমানের প্রযুক্তি, সঠিক বিটিইউ (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) থাকায় ওয়ালটন এসিতে তুলনামূলক কম সময়ে বাতাস ঠান্ডা হয়। উচ্চ প্রযুক্তির সমন্বয়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী করে তৈরি হচ্ছে ওয়ালটন এসি। গাজিপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ড্রাস্টি্েরজ বর্তমানে সর্বনি¤œ পৌনে এক টন থেকে সর্বোচ্চ দুই টনের বিভিন্ন মডেল ও ডিজাইনের এসি তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মত এসির কনডেন্সারের পাখায় অ্যান্টি করোসিভ হাইড্রফিলিক গোল্ডেন কালার ফিন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। বাংলাদেশের বাজারে এবারই প্রথম ৬ মাসের রিপ্লেমেন্ট গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী কিস্তিতেও বিক্রি হচ্ছে। ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, ওয়ালটন এসি দামে প্রায় ৬০ শতাংশ সাশ্রয়ী। দেশেই বিশ্বমানের এসি তৈরি হওয়ায় আমদানি কমে গেছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটনের এসি রপ্তানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। যদিও দেশের বাজারকেই প্রাধান্য দিচ্ছে ওয়ালটন। গত কয়েক বছর ওয়ালটন এসির বিক্রি প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। ফলে এ সেক্টরে আরো বেশি বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা করছে ওয়ালটন। ওয়ালটন আরএন্ডডি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. মইনুল হোসেন বলেন, গোল্ডেন ফিন প্রযুক্তি হলো এসির কনডেন্সারে হিট এক্সেঞ্জারের পৃষ্ঠতলে ক্ষয় ও মরিচারোধক হাইড্রফিলিক আবরণ। এতে করে ধুলো, ময়লা, বাতাসের আর্দ্রতা ও উষ্ণতার কারনে সৃষ্ট ক্ষয় রোধ করে। সেইসঙ্গে তা কনডেন্সারে হিট এক্সেঞ্জারের স্থায়িত্ব ও কার্যকারীতা বাড়ায়। এটি ব্যবহারের ফলে ক্রেতাকে ঘনঘন এসি পরিষ্কার বা মেরামতের ঝামেলা পোহাতে হবে না। ওয়ালটনরে রয়েছে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ আরএন্ডডি (উন্নয়ন ও গবেষণা) কেন্দ্র। গাজীপুরের ওই উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্রে দেশি-বিদেশী প্রকৌশলীরা অন্যান্য পণ্যের পাশপাশি এয়ারকন্ডিশনার নিয়েও প্রতিনিয়ত গবেষণা করছেন। সেখানে এসির জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর পৃথক আরএন্ডডি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যেখানে দেশী-বিদেশী প্রকৌশলীরা আবহাওয়া স্ট্যান্ডার্ড, সাশ্রয়ী মূল্যে বেশি কার্যকর এসি তৈরির জন্য নিরলস গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কঠোরভাবে কিউসি বা কোয়ালিটি চেক করা হচ্ছে। এরই ফলশ্রতিতে ওয়ালটনের এসি বিশ্ব বাজারেও জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। বাজারে ৩২ হাজার টাকা থেকে ৫৫ হাজার ৭০০ টাকার মধ্যে ওয়ালটনের এসি বিক্রি হচ্ছে। ওয়ালটনের এসি গ্রাহকদের দোড়গড়ায় পৌঁছে দিতে ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে এসি সরবরাহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সহজ বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে সার্ভিস সেন্টারের আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top