সকল মেনু

খালেদার ঠিকানায় সমন পাঠানোর আবেদন

আদালত প্রতিবেদক: ড্যান্ডি ডাইংয়ের ঋণখেলাপী মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চার জনকে বিবাদী করার পর তাদের ঠিকানায় আদালত থেকে সমন পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে।সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঢাকার প্রথন অর্থঋণ আদালতে এই আবেদন করা হয়। পরে শুনানীর জন্য বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস এর আদালতে আজ (সোমবার) দিন ধার্য করা হয়েছে।
এরআগে গত ১৬ মার্চ ড্যান্ডি ডাইংয়ের ঋণখেলাপী মামলায় কোকোর পরিবর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান ও দুই কন্যাকে বিবাদী করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ মামলায় বিচার্য বিষয় নির্ধারণের (ইস্যু গঠন) তারিখ পিছিয়ে ১২ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করা হয়।
এরআগে এই মামলার বিবাদী আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় গত ৮ মার্চ সোনালী ব্যাংক ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক অংশীদারিত্ব তার মা বেগম খালেদা জিয়া এবং স্ত্রী শার্মিলা রহমান সিঁথি ও দুই কন্যা জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানকে বিবাদী করার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, কোন ব্যাক্তি মারা গেলে তার সম্পত্তির উত্তরাধিকারীদের বিবাদী হিসাবে স্থলাভিষিক্ত করার নিয়ম রয়েছে। এ কারণে কোকোর সম্পদের উত্তরাধিকারী এই চারজনকে নতুন করে বিবাদী করা হোক। তবে উত্তরাধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তারেক রহমান আগে থেকেই বিবাদী থাকায় নতুন করে তাকে বিবাদীভূক্ত করার আবেদন করা হয়নি। এরআগে ড্যান্ডি ডায়িং মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদের মারাগেলে তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে বিবাদী করেছিল সোনালী ব্যাংক। মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- ড্যান্ডি ডায়িং লিমিটেড, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদার ভাই প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার, সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমানের বন্ধু ব্যাবসায়ি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহিনা বেগম ও গাজী গালিব আহম্মেদ।
এরআগে গত বছরের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ফেরত চেয়ে সোনালি ব্যাংকের মতিঝিল শাখার নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এই মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, ১৯৯২ সালে তিন কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে ড্যান্ডি ডায়িং। ১৯৯৩ সালের ৫ মে সোনালী ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করা হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে সাঈদ এস্কান্দারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনরায় ঋণ মঞ্জুর করেন। ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল ড্যান্ডি ডায়িংকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৪২ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। মামলায় আরো বলা হয়, ঋণ গ্রহণের প্রথম থেকেই প্রতিষ্ঠানটি খেলাপি হয়ে পড়ে। এরপরে সোনালী ব্যাংক থেকে বিবাদী প্রতিষ্ঠানকে কিস্তি পরিশোধের জন্য বারবার তাগাদা দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০০১ সালে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রতিতষ্ঠানটির ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ ঋণের সুদ মওকুফ করেছিল। মামলায় আরো বলা হয়, বিবাদীদের সোনালি ব্যাংক থেকে একাধিকবার ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু বিবাদী প্রতিষ্ঠান ঋণ পরিশোধের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই ঋণের টাকা আদায়ের জন্য আদালতে এ মামলা করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top