সকল মেনু

ক্রিকেট শিল্পে কলঙ্ক লেপে যাচ্ছে

 ওয়াশিম আহমেদ শান্ত: খেলা কি, খেলাহীন কোন প্রহর মানুষের জীবনে কখনো কি এক পলক কাটেনি। এ কথা আমি কেন? পৃথিবীর একটা প্রাণ হ্যাঁ ছাড়া না বলার কোন কারণ নেই। স্কুলের যাওয়ার পথে দেওয়ালে-প্রাঁচীরে লেখা দেখতাম আবাহনী এবং মহামেডান। তখন বুঝি নি। বুঝেছি তখন যখন আমি খেলোয়াড়, সমর্থক। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলছে বাংলাদেশ আমার দেশ। স্বপ্ন তো আকাশ পাতালে যেয়ে দেখবই। আমরা এবার সেমিফাইনাল আশা করতেই পারি। আমাদের ক্রিকেট শিল্প সে সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে বিশ্বকাপে। প্রথম পর্বের খেলায় একটা ম্যাচ হাতে রেখেই আমরা চলে আসলাম কোয়ার্টার ফাইনালে। ক্রিকেট বিশ্ব দেখল আমরা অসাধরণ খেলছি। এবার শিরোপা প্রত্যাশিত দল অবশ্যই নিউজিল্যান্ডকে ধরে নিতে পারি। তারা ধারাবাহিকের মধ্যে ভাল ক্রিকেট খেলছে। অথচ সেই নিউজিল্যান্ডকে আমাদের ক্রিকেট নৈপুণ্যে অল্পের জন্য পরাস্থ হলো না। বাংলার সমর্থকরা হতাশ হলো না। বরঞ্চ ভালো ক্রিকেট খেলেছে তার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছে বাংলার খেলা পাগল মানুষরা। আমিও প্রতিপক্ষ হিসাবে সাউথ আফ্রিকাকে না পেয়ে খুশি হয়েছি। কারণ ক্রিকেট শিল্পে ধীরে ধীরে ভারতের সাথে আমাদের বোঝাপড়াটা এক দশকে অনেক এগিয়েছে। আমরা অবশ্যই আশাবাদি ছিলাম। ক্রিকেট শিল্প দিয়ে ভারতে পরাস্থ করব। শিল্পকে কখনো ছোট করে দেখার উপায় নেই। অথচ কি দেখলাম? এই কলঙ্কময় অধ্যায় দেখার জন্য আমি সারারাত অস্থির হয়েছিলাম। ব্যাটিং, ফিল্ডিং, বোলিং ক্রিকেটে এই তিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভারতের সাথে খেলায় ৩৫ ওভার পর্যন্ত খেলাটি আমাদের নিয়ন্ত্রনে ছিল। ফিল্ডিং এবং বোলিং এর মাধ্যমে তারপর ঘটল বিস্ময়কর ভুলে ভরা চক্রান্ত করা অ্যাম্পায়ারিং কলঙ্ক লেপে গেল ভারত বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল। কেনো এমন করলে তোমরা? বিশ্ব এবং আমরা জানতাম ভারতের বিশাল ব্যাটিং স্তম্ভ। তাহলে ভয়টা কোথায় ছিল? আমরাও বিশ্বকে জানিয়েই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলছি। এর আগে বিশ্বকাপে ভারত আমাদের কাছে হেরেছে। তখনও তাদের দল ব্যাটিং স্তম্ভ। শচিন, গাঙ্গুলী, রাহুল দ্রাবিরা সেবার তাদের সমর্থকরা তাদের উপরে চটে ছিল। সেই ভয় এখনো কাটেনি। যখনি দেখলো ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো দল বাংলাদেশের কাছে নাকোনি চুবানি খেয়ে দিশাহারা ভারতেরও ১০২ ডিগ্রি জ্বর উঠেছিল। বাঁচার উপায় খুঁজতে থাকলো চক্রান্তের জাল বিছিয়ে। কেড়ে নিল বাংলার সোনালী স্বপ্ন মাশরাফি কাঁদল আমিও কাঁদলাম। আইসিসি প্লিজ একবার বলবেন? ২৩ তারিখের খেলা ১৯ তারিখে কেন? মনে রাখবেন একটা শিল্পকে ততদিন সতেজ রাখা যায় যতদিন স্বতন্ত্র পাত্রে বিশ্বে উন্মুক্ত থাকে। সেটা শিল্পের যেকোন কর্ণার থেকেই হোক। ১৯ তারিখে বাংলাদেশের সব প্রাণের স্পন্দন একটি রোমান্টিক মুহূর্তের আশায় ছিল। আমিও তার মধ্যে একজন। খেলার আগে। আমরা একে অপরে, বাসাবাড়িতে, চায়ের আড্ডায়, কর্মস্থলে কত স্বপ্ন রঙিন আলোচনা চলছিল। আমারও মনের ভেতর এক ধরণের  পাগলামী কাজ করছিল। এ পাগলামীর মধ্যে দেশত্ব প্রেম লুকিয়ে আমি, তুমি, সে আমরা সবই উন্মোচন করতে চেয়েছিলাম নিজেকে ক্রিকেটকে ভালোবেসে। অবশ্য খেলার আগে আমার উচ্ছ্বাস নামে মামা বলেছিলেন, দেখ মামা বাংলাদেশকে জিততে দিবে না। কথাটি আমি মনে প্রাণে পাত্তা দিতে চাইনি। আর আমি কখনো চাইও না ক্রিকেট শিল্পের কলঙ্কের ইতিহাস হোক কোন ব্যক্তি কোন সংগঠন তার অপব্যবহার করুক। সত্যি হয়ে গেল। আমার উচ্ছ্বাস মামার কথার আলাপন ক্রিকেট অনুরাগীরা দেখলেন হর্তাকর্তারা স্বার্থ কল্যাণে ক্রিকেট শিল্পকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। আমি হতাশ এ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলাটিও আমাকে মনের টানে টানবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top