সকল মেনু

সৈয়দপুরে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি

 মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী ১৭ মার্চ: নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি বাড়ি ও ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদের  হামলায় এক নারীসহ আট জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার ভোর রাতে সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের হামুরহাট গ্রামে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার (সৈযদপুর সার্কেল)। ডাকাতির শিকার হামুর হাটের নুর ইসলাম জানায়, সোমবার ভোরে মুখোশপরিহিত ১৫/২০ জনের একদল ডাকাত তার বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় ডাকাত দল পরিবারের সদস্যদের  ধারালো অস্ত্র দিয়ে আহত করে প্রথমে তাকে ও তার স্ত্রীকে একটি ঘরে বেঁধে রেখে ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ লক্ষাধিক টাকা লুটে নিয়ে যায়। এরপর হামুর হাটের থাকা মিঠু ডেকোরেটরের দরজা ভেঙ্গে একটি কম্পিউটার, চন্দন টেলিকম থেকে ৫০ হাজার টাকা, গনেশের মুদি থেকে আড়াই লাখ টাকার, শুকুমারের মুদির দোকান থেকে দেড় লাখ টাকা, কাঞ্চন সরকারের মুদি দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা ও কনকের হোটেলে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ৩০ হাজার টাকাসহ অন্তত ১০ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদের আক্রমে নারীসহ আটজন আহত হন। হামুর হাটের কনকের হোটেলের আহত শ্রমিক মিঠু জানান, ডাকাতরা  তাদের হোটেলে প্রবেশ করে ঘুমন্ত ৬ জন শ্রমিককে বেধরক মারধর করে সকলকে একত্রে বেঁধে রেখে হোটেলের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ৩০ হাজার  টাকা লুট করে। এসময় তাদের চিৎকারে আশেপাশের মানুষ পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আশার আগেই ডাকাতদল পালিয়ে যায়। সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান,  রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদের হামলা ওই গ্রামের  নুর ইসলাম ও স্ত্রী আমেনা বেগম এবং আতাউর, চন্দন, আমজাদ, পর্বত, মাজেদুল ও  মিঠু  নামের কনক হোটেলের ছয় হোটেল শ্রমিক আহত হন। আহত সকলকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানান ওসি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top