সকল মেনু

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল : সরকারের পরিকল্পনা বিফলের আশঙ্কা

untitled-9_111951নিজস্ব প্রতিবদেক : দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে সরকার। আগের পাঁচটি অঞ্চলের পাশাপাশি ফেব্রুয়ারিতে আরও নতুন ১৭ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন-এফবিসিসিআই।

তবে, বিচার বিশ্লেষণ করে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে না পারলে সরকারের পরিকল্পনা বিফল হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

২০১২ সাল থেকে দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মীরসরাই, আনোয়ারা, সিরাজগঞ্জ, শেরপুর, মংলায় ৫টি অঞ্চল নির্বাচন করা হয়। এসব অঞ্চলে এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এমন অবস্থায় ফেব্রুয়ারিতে আরও ১৭ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তার মধ্যে শ্রীপুর ও গহিরায় জাপান ও চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্দিষ্ট থাকবে। এছাড়া, কক্সবাজারে একটি পর্যটন অঞ্চলের অনুমোদন দেয়া হয়। বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিতেই এমন উদ্যোগ সরকারের।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার জন্যই আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করে এই জায়গা গুলো নিয়েছি।’

এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশিদের পাশাপাশি দেশি উদ্যোক্তাদেরও বিনিয়োগ সুবিধা দেয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের।

এফবিসিসিআই’র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের লোকেরা বিনিয়োগ করতে পারে সেই সঙ্গে যদি বিদেশিরা আসে বিনিয়োগের গতি আরও বেগবান হবে।’

২০১০ সালে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রণীত আইনে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ শুল্ক সুবিধা, ওয়ান স্টপ সার্ভিস, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে নাগরিকত্ব দেয়ার মত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর তাদের সব রকম সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজা।

বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ‘সব কিছু একটার পর একটা হবে এমন কোনও কথা নয়। একযোগে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এটা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে আমরা বিনিয়োগকারীদের যে শঙ্কা বা দ্বিধা সেটা সম্পূর্ণভাবে কেটে যাবে এবং আমরা সেটা করে দেখাবো।’

বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সরকারের এ পরিকল্পনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এই রকম একটি নতুন উদ্যোগ যদি পর্যাপ্ত বিচার বিশ্লেষণ না করে নেয়া হয়। তাহলে আগামীতে এই সমস্ত জায়গাগুলো শিল্প-খরায় ভুগতে পারে। বিসিকের ক্ষেত্রে এক ধরণের রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করেছিল। সেই ধরণের চাপের কারণে অনেক বিসিক প্রতিষ্ঠার পরও কার্যকরভাবে সেখানে বিনিয়োগ যেতে পারেনি। সেইরকম আশঙ্কা এটার ক্ষেত্রেও হতে পারে।’

আগামী ১৫ বছরে দেশে ১শ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। এতে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান এবং প্রতিবছর ৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান সরকারের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top