সকল মেনু

আইএস-এর হাতে জিম্মি বাংলাদেশীকে উদ্ধারে দূতাবাসকে নির্দেশ

is-compileনিজস্ব প্রতিবদেক : লিবিয়ার সিরত শহরের একটি তেল ক্ষেত্র থেকে এক বাংলাদেশীসহ আট বিদেশী নাগরিককে জিম্মি করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট- আইএস।  ঘটনার পরপরই অপহৃতকে উদ্ধারে সে দেশের বাংলাদেশী দূতাবাসকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।  তবে বাংলাদেশকে টার্গেট করে অপহরণ নাও হতে পারে এমনটা মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক।

সারা পৃথিবীতে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের কথা বলে মূলত ইরাক ও সিরিয়াতে ঘাঁটি বসায় আইএস।  ২০১৪ সালের ২৯ জুনে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিভিন্ন দেশের নাগরিককে হত্যা করে তাদের ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে তাদের শক্তির জানান দেয়।  ঘটনার পরম্পরায় শুক্রবার লিবিয়ার সিরত শহরের একটি তেল ক্ষেত্র থেকে এক বাংলাদেশীসহ নয়জনকে অপহরণ করে তারা।

অপহৃত বাংলাদেশী হেলাল উদ্দিনের বাড়ি জামালপুরে মাদার গঞ্জের আদারভিটা গ্রামে।  সোমবার বিকেলে জিম্মি হওয়ার খবর বাড়িতে পৌঁছালে স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।  এসময় একমাত্র উপার্জনক্ষমকে ফিরে পেতে সরকারের কাছে দাবি জানায় হেলালের পরিবার।

এদিকে, সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান জিম্মি উদ্ধারে লিবিয়ায় বাংলাদেশী দূতাবাসকে তৎপর হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মুসলিম হওয়ার কারণে হোক কিংবা অন্য কোনো কারণে হোক তারা এখনো পর্যন্ত নিরাপদে রয়েছেন, আমরা প্রত্যাশা করবো যাকে অপহরণ করা হয়েছে, তিনিও নিরাপদে ফেরত আসতে পারবেন। ‘ আইএসএর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি ছাড়া, বাংলাদেশী জিম্মি হওয়ার ঘটনার মোটিভ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘যদি এমন হয় যে তারাও জানতো না যে ধরা পরেছে এবং কিছুদিন পর ছেড়ে দিয়েছে, সেগুলো যদি হয় তবে ব্যবহারটা অন্যরকম হবে। ‘

বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এন্টি আইএস জোট ভুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশ্লেষক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top