সকল মেনু

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কারাগারে

 আদালত প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহম্মেদ হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদুল ইসলাম রাজুকে কারগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পন করলে বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী তাছলিমা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি আসামি রাজুসহ পাঁচ আসামির মৃত্যুদন্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছিলেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে রায় ঘোষনার সময় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামিই পলাতক ছিলেন, তারা হলেন ঝিনাইদাহ জেলার সদর থানার আরাবপুর এলাকার জামতলার সড়কের মো. ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মো. রাশেদুল ইসলাম রাজু, বরগুনা জেলার আমতলী থানার ৫ নং চওড়া উইনিয়নের বৈঠাকাটা এলাকার মো. হিরু খানের ছেলে খান মো.রইস ওরফে সোহান, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার রামপুর এলাকার মো. বাছেদ আলীর ছেলে জাহীদ হাসান ওরফে জাহিদ, ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা থানার মসজিদ পাড়ার খন্দকার শফিকুল ইসলাম বকুলের ছেলে আশিকুল ইসলাম ফয়সাল, নোয়াখালী জেলার সুধারামপুর থানার ৭ নং ওয়ার্ডের কাঞ্চনপুর এলাকার মাহাবুব মোর্শেদ আজাদের ছেলে মাহাবুব আকরাম। এর মধ্যে প্রধান আসামি রাজু গতকাল আদালতে আত্মসমর্পন করলেও অন্য চার আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। আসামিরা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী। এছাড়া নিহত জুবায়েরও ছাত্রলীগ করতেন। মামলার নথি সুত্রে জানাগেছে, ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৩৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের। এ ঘটনায় পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নিবন্ধক হামিদুর রহমান ঢাকার আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীর শাহীন শাহ পারভেজ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top