নিজস্ব প্রতিবেদক : সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতায় বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। এবং হতাহতের সংখ্যা প্রচুর। প্রতিটি বাসে অগ্নিকাণ্ডসহ দুর্ঘটনা মোকাবেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত হলেও বাংলাদেশে তা নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় ক্ষতি কমাতে প্রতিটি বাসে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংযোজনের পরামর্শ দিয়েছেন সাধারণ যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা।
৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অবরোধ হরতালে বাসে চোরাগোপ্তা পেট্রোল বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক নিরীহ মানুষ। এ পৈশাচিক নৃশংসতায় দগ্ধ কয়েকশ মানুষ ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ অবস্থায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিভিন্ন দেশে যখন স্বাভাবিক নিয়মেই গণ-পরিবহনে অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহৃত হয় তখন বাংলাদেশে তা কেন করা হচ্ছে না?
বাসযাত্রীরা জানান, দেশের গণপরিবহনগুলোতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকা খুবই জরুরি।
বিশ্বের অনেক দেশে এ সংক্রান্ত নিয়ম ও বাধ্যবাধকতা থকলেও এদেশে কেবলমাত্র বিআরটিসি ছাড়া অন্য কোন বাসে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। যদিও এগুলোর বেশিরভাগই বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো।
এছাড়াও লক্কর ঝক্কড় বাসে যেখানে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থাই প্রায় থাকে না,সেখানে আগুন নেভানোর যন্ত্র থাকাটা অলীক কল্পনা বলে মনে করেন অনেক যাত্রী।
তবে, একজন বাস মালিক বললেন আগুন নেভানো যন্ত্র ব্যবহার করে মারাত্মক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে তার বাসটি।
বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুখ তালুকদার সোহেল বলেন, ‘অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র রাখতে সর্ব্বোচ ৩ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। এ সামান্য খরচেই রক্ষা পেতে পারে যানবাহন ও মানুষের জীবন।’
আগুনের ভয়াবহতা কমাতে গণপরিবহনে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করলেন ফায়ার ফাইটাররা।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এর পরিচালক অপারেশন মেজর শাকিল নেওয়াজ জানান, ‘সর্তকতা অবলম্বন ও অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র রাখলে যানবাহনে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।’
দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় ট্রাফিক জ্যাম, গণপরিবহন সংকটসহ নানামুখী সমস্যা থাকলেও প্রতিটি বাসে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহারকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।