সকল মেনু

বিশ্ববিদ্যালয়ের তালা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি রংপুর বাসির

ইকবাল হোসেন, রংপুর: আগামী ৫দিনের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন ছেড়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তালা ভেঙ্গে আন্দোলনকারিদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে । রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রংপুরবাসির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যাালয়ের উপাচার্য আজ সোমবার আন্দোলনকারি শিক্ষকদের চিঠি দিয়ে আলোচনায় বসার আহবান  জানাবেন।এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নুর-উন-নবী দীর্ঘদিন পর  ঢাকা থেকে রংপুরে ক্যাম্পাসের বাসায় আসায় আন্দোলনরত শিক্ষকরা কালো পতাকা মিছিল করেছে। গত ৮ ফেব্রয়ারি থেকে উপাচার্যের  অপাসারনের দাবিতে শিক্ষকরা অনশন এবং পরবর্তীতে অবস্থান কর্মসুচি পালন করে আসছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তি হতে ইচ্ছুক রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। নভেম্বর মাসে ভর্তির জন্য রেজিস্ট্রেশন করলেও এখনও ভর্তি পরীক্ষার তারিখও ঘোষণা করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। বক্তারা তাই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আন্দোলন ছেড়ে ক্লাস চালুর দাবি জানিয়েছেন। তা না হলে রংপুরবাসি তাদের প্রতিহত করবে । ভর্তি পরীক্ষা তারিখ ঘোষণা এবং আন্দোলন ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবিতে রংপুরবাসির ব্যানারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কারমাইকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক মোজাহার আলী। বক্তব্য রাখেন কারমাইকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সোবহান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব এসএম ইয়াছির, সাবেক ছাত্রনেতা আলা উদ্দিন মিয়া,  বেলাল আহমেদ প্রমুখ। এদিকে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবী তার বাসায় প্রবেশের প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেধে এবং কালো পতাকা হাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাড়ির সামনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. হাফিজুর রহমান সেলিম, সাধারন সম্পাদক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ প্রমুখ।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নুর-উন-নবী রোববার জানিয়েছেন, আজ সোমবার তিনি আন্দোলনরত শিক্ষকদের চিঠি দিয়ে আলোচনায় বসার আহবান জানাবেন। উপাচার্য বলেন, আমি চাই আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান। এতে করে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে এবং ভর্তি পরীক্ষার তারিখও ঘোষণা করা যাবে। তিনি বলেন, এরইমধ্যে তিনি ঢাকায় থেকে ১ হাজার আসনের একটি ছাত্রী হল, ড. ওয়াজেদ রিসার্স ইন্সটিটিউট, শিক্ষার্থীদের ল্যাব, স্বাধীনতা স্মারকের জন্য ৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার অনুদান নিয়ে এসেছেন। এছাড়া ৮৩টি পদ নিয়ে এসেছেন । এতে ৮৩ জনের চাকুরি স্থায়ী হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নুর-উন-নবী আরো বলেন, শিক্ষকদের পারিতোষিক, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বকেয়া বেতন ভাতার জন্য ৯৭ লাখ টাকা বিশেষ বরাদ্দও নিয়ে এসেছেন। তিনি নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top