সকল মেনু

সাদুল্যাপুরে শতাধিক বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে স্ট্রবেরী

piarul-01পিয়ারুল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের তাজনগর গ্রামে দু’বছর আগে মাত্র তিন বিঘা জমিতে স্ট্রবেরীর চাষ শুরু হয়েছিল। এখন ওই উপজেলার চারটি গ্রামের ২৬ জন কৃষক শতাধিক বিঘা জমিতে স্ট্রবেরী চাষ করে আসছেন।

স্ট্রবেরী চাষকে কেন্দ্র করে গ্রামগুলোর পাঁচ শতাধিক দরিদ্র নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবং অনেক কৃষকেই স্ট্রবেরী চাষে ঝুকে পড়েছেন।

তবে টানা অবরোধ-হরতালে মৌসুম সময়ে স্ট্রবেরী বাজারজাতকরণ বিঘিœত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

জানা গেছে, সংবাদপত্রে স্ট্রবেরী চাষের কথা জানতে পারেন কৃষক মোখলেছুর রহমান বিপ্ল¬ব। দু’বছর আগে তার ৩ বিঘা জমিতে প্রথম স্ট্রবেরীর চাষ শুরু করেছিলেন। তিনি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থেকে ৭’শ ২৫ টি স্ট্রবেরীর চারা নিয়ে এসে স্ট্রবেরীর চাষ শুরু করেন। এতে তার ব্যয় হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। যা বিক্রি করে তিনি আয় করেন প্রায় ২০ লাখ টাকা। এ থেকেই ওই গ্রামের কৃষকরা প্রথমে অবহেলার চোখে দেখলেও এখন অনেকেই স্ট্রবেরী চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।

কৃষক বিপ্ল¬ব জানান, স্ট্রবেরী উৎপাদিত হওয়ার পর সপ্তাহে দু’দিন ট্রাকে করে তিনি স্ট্রবেরী ঢাকার কারওয়ান বাজারে সরবরাহ করেন। সময় বিশেষে স্ট্রবেরী প্রতি কেজি ৫’শ টাকা থেকে ১’শ পঞ্চাশ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, স্ট্রবেরী চারা থেকেই জন্ম নেয় নতুন চারা। ফলে নতুন করে কোন চারা কিনতে হয় না।

কৃষক আলেফা বেগম বলেন, বিপ্ল¬বের কাছ থেকে আগ্রহী হয়ে চার বিঘা জমিতে স্ট্রবেরী চাষ করেছেন তিনি। আশা করেছিলেন লাভবান হবো। কিন্তু হরতাল অবরোধে সময়মত ঢাকায় ফল পাঠাতে পারছি না। ফলে একদিকে স্ট্রবেরী নষ্ট হচ্ছে আর মুল্য তারতম্য ঘটছে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, এ কাজে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাদের আওতাধীন কৃষকদের অর্থনৈতিকসহ নানা সহযোগিতা দিচ্ছেন।
তবে অন্য কৃষকরা যদি ব্যাংক ঋনের চেষ্টা করেন তবে তাদের ঋন গ্রহণে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top