সকল মেনু

চাপ কাটানোর লড়াই বাংলাদেশের

world-cup-bangladesh-640x350ক্রিড়া প্রতিবেদক : ১১তমর লক্ষ্য কি? সাকিব আল হাসান বাদে এই প্রশ্ন যখন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের করা হয়েছিল সবাই জানিয়েছিল শেষ আট অর্থাৎ কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যেতে চান তারা।
বিগ ব্যাশ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় সাকিবের ইচ্ছার কথা জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন সময়ে সাকিব নিজ মুখে বলেছেন, কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে।
কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যেতে চাওয়া বাংলাদেশের জন্যে অযৌক্তিক নয়। শক্তি ও সামর্থ্য দুটোই আছে। আছে ম্যাচ জেতানো পারফরমার। ব্যাটিং কিংবা বোলিং দুই বিভাগেই পারফরমার টইটুম্বুর! সেজন্য কোয়ার্টারের স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ।
স্বপ্নের কোয়ার্টারের পথে যাত্রার শুরুটা ছিল অসাধারণ। আন্ডারডগ আফগানিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে হারায় টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে বাঁধ সাধে ঘূর্ণিঝড় ‘মার্সিয়া’। খেলা না হওয়ায় এক পয়েন্ট ভাগাভাগি করে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ।
তবে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মনোবল হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পুরনো বন্ধু কিংবা পুরনো শত্রু যা-ই বলা হোক না কেন শ্রীলঙ্কার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে মাশরাফির দল।
আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপে ভালো খেলতে হবে এবং কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হবে এমন চাপ নিয়ে মাঠে নেমেই বিপদে বাংলাদেশ। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই নিষ্প্রভ বাংলাদেশ।
সেদিনের ম্যাচ হয়েছিল ক্রিকেটের বিখ্যাত স্টেডিয়াম মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ম্যাচ শেষে টাইগার দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ‘মেলবোর্ন আমার কাছ থেকে সবকিছু নিয়ে নিল, কিন্তু কিছুই দিল না!’ মাশরাফি দলের পারফরমেন্সে কতটুকু হতাশ সেটা তার কথায় বোঝা যায়।
তবে সব কিছুকে পেছনে ফেলে মাশরাফির ইচ্ছে, বিশ্বকাপের পরবর্তী ম্যাচ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো খেলে স্বরূপে ফিরবে বাংলাদেশ। ফিরে পাবে হারানো আত্মবিশ্বাস। আর চাপ কাটিয়ে উঠবে দলের ক্রিকেটাররা। বলাই যায়, বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের চেয়ে বাংলাদেশের বড় প্রতিপক্ষ ‘চাপ’।

র‌্যাংকিংয়ে স্কটল্যান্ডের থেকে ঢের এগিয়ে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে ফেভারিট বাংলাদেশই। তবে স্যাক্সটন ওভালে ফেভারিটদের জন্য ভয়ঙ্কর। বিশ্বকাপের শুরুতে নিজেদের থেকে দূর্বল আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে বসে দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে স্কটিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ এক অর্থে মর্যাদার। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচও হারেনি বাংলাদেশ। তবে দুই দল সবশেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল ২০০৬ সালে। সেবার তিনটি ম্যাচই জিতে নেয় বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচ জিতলেও যেমন, হারলেও তেমন কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সম্ভবনা থাকবে মাশরাফিদের জন্যে। নক-আউট পর্ব নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশকে হারাতে হবে ইংল্যান্ডকে। আর ইংল্যান্ডকে হারানোর যে আত্মবিশ্বাস সেটা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই নিতে হবে টাইগারদের।
নেলসনে আইসিসির সহযোগী দেশ আয়ারল্যান্ড হারিয়েছিল আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এবার স্কটল্যান্ডের পালা! বাংলাদেশ কি পারবে স্কটল্যান্ডের স্বপ্নকে ভেঙে দিতে? বৃহস্পতিবার দুপুরেই সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top