সকল মেনু

কালোবাজারিতে টিকিট বিক্রি বন্ধে জনসাধারণের মানব বন্ধন

 বেলাল উদ্দিন, দিনাজপুর থেকে: তুন বছরে বিরোধী দলের ডাকে হরতাল ও অবরোধের কারণে দেশব্যাপী নাইট কোচ থেকে শুরু করে দূর পাল্লার যান চলাচল অনিয়মিত চলাচল করছে। কিন্তু রেল চলাচল এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক ও নিরাপদ থাকায় সাধারণ মানুষ রেলভ্রমণকে বেছে নিয়েছে। এরই সুবাদে দিনাজপুর রেলওয়ের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রেলওয়ে টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করছে দেদারসে। বেশ কয়েকবার কালোবাজিদের ধরতে প্রশাসনের অভিযান হলেও বেড়েছে টিকিট কালোবাজিদের সংখ্যা। দিনাজপুর রেল কর্তৃপক্ষ অনেক কৌশল অবলম্বন করলেও ঠেকানো পারেনি কালোবাজিদের। জনসাধারণ কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে এক জোট হয়ে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি বন্ধে গতকাল স্টেশন রোডে সকাল ১১টায় এক মানব বন্ধন করেছে। জানা গেছে ভুক্তবোগী রিস্কাওয়ালা মোঃ মিলন মানবন্ধনে বলেছেন, দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে দীর্ঘ যুগ প্রায় ১০ থেকে ২০ বছর যাবত একই জায়গায় রেল কর্মকর্তা কর্মচারীরা চাকুরি করার সুবাদে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে রেখেছেন যার কারণে শুধু টিকিট কালোবাজারি নয় যে কোন ছিনতাই, চুরি সহ অসামাজিক কাজের বৈধতা ও নিরাপত্তা দিচ্ছে দিনাজপুর রেল ও জিআরপি থানা কর্তৃপক্ষ। মানবন্ধনে মোঃ শামীম নামে আরও এক বক্তা বলেছেন, লালমনিরহাটের বিভাগীয় তত্বাবধায়ক পরিবহন মোস্তাফিজুর রহমান, লুৎফর রহমান টিআই-দিনাজপুর, এস.এম-গ্রেড-৪ এর মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম মঞ্জু, কম্পিউটার অপারেটর জাকিরুল ইসলাম জাকির, স্টেশন মাস্টার গ্রেড-৩ সুনীল কুমার বর্মন তারা দীর্ঘ ১০ থেকে ২০ বছর যাবত একই স্টেশনে চাকুরিরত রয়েছেন। আর এই কারণেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। বক্তাদের অভিযোগ, কম্পিউটার অপারেটর জাকির অতিরিক্ত টাকা নিয়ে মহিলাদের (চায়ের দোকানে ডেকে) ট্রেনের টিকিট দেয়। শুধু তাই নয় ২য় তলায় টিকিট ব্লক রেখে নিচে অপারেটরদের ফোনে টিকিট প্রদান করে। যার কারণে সাধারণ জনসাধারণ ট্রেনের টিকিট সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পায় না। প্রতিদিন লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট না পেয়ে হতাশ দিনাজপুরবাসী। লাইনে দাঁড়িয়ে ৭ থেকে ১০টি টিকিট জনসাধারণ পেলেও বাকী টিকিটগুলো যাচ্ছে কোথায় সেটিও জানতে চাওয়া এই মানবন্ধনে। মানব বন্ধনে অংশ নেন যথাক্রমে- রুবেল, লাড্ডান, শাহজাহান, মাসুম, জীবন, তোফা, পিচ্চি রানা, শাহআলম, বাপ্পী, মাসুদ, সোহরাব, মানিক, লিটন, শহীদুল সহ অনেকেই। উল্লেখ্য যে, গত মাসে রংপুর স্টেশন সুপারেন্টটেন্ডডেন্ট (এসএস) শেখ রাজ্জাক আলী টিকিট কালোবাজিদের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সব শেষে আর যেন দিনাজপুর রেলওয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের মাধ্যমে চায়ের দোকান, বাহাদুর বাজার, মর্ডাণ মোড়, ষষ্টিতলা, রেলঘুমটি, হাসপাতাল মোড়ে বিক্রি না হয় সে জন্য দিনাজপুর এসএস গোলাম মোস্তফা, রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সহ সরাসরি রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চলের জিএমের হস্তক্ষেপ কামনা হয়েছে। সেই সাথে সরকারি আইনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে যে সমস্ত রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দীর্ঘ ১০ থেকে ২০ বছর একই জায়গায় চাকুরিরত আছেন তাদের অন্যত্র দাবী জানানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top