সকল মেনু

অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন; আজও অর্জিত হয়নি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য

মার্চনিজস্ব প্রতিবেদক : আজ পহেলা মার্চ; ‘৭১-এ পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ থেকে মুক্ত হতে, বাঙ্গালি স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো এই মার্চ মাসেই। খানসেনাদের বেয়নেটের সামনে বীরদর্পে লড়াই করা বাঙ্গালি, ৯ মাস পর স্বাদ পেয়েছিলো অপার সেই স্বাধীনতার।

কিন্তু, দেশ স্বাধীনের দীর্ঘ ৪’দশক পেরিয়ে এসে বিশিষ্টজনদের আক্ষেপ- মুক্তিযুদ্ধের মৌল নীতি, রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক প্রগতির পথে অগ্রসর হওয়ার চেতনায় জাতি আজও বিভক্ত। প্রতিষ্ঠিত হয়নি জাতীয় ঐক্যমত্য; কমেনি সামাজিক বৈষম্য।

১৯৭১ সাল; আজকের এই ‘ভূ-খণ্ডটি’ যখন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের চারণভূমি। নিষ্পেষণের চক্রান্তে হঠাৎই মার্চের শুরুতে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে স্থগিত ঘোষণা করেন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন।

প্রতিবাদে ফেটে পড়লো বাংলা। দিন কয়েক পর-৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে মুক্তির ডাক আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বজ্রকন্ঠে।

স্বাধীনতা লাভের দীর্ঘ সময় পর আজ বিশিষ্টজনদের আক্ষেপ- মুক্তির চেতনার সেই যুদ্ধ আজ বিভেদের রাজনীতির কাছে পরাজিত।

তাঁদের মতে- ৭১’র সাম্যের বন্ধনে স্বাধীনতা এলেও দেশে এখনো শক্তিশালী হয়নি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান; দূর হয়নি সামাজিক বৈষম্য।

৭১ সালে যারা অর্থনীতি, রাজনীতি আর ভূগোলের ভুল ব্যাখ্যায়, শোষণের মন্ত্রে দাবিয়ে রেখেছিলো আজকের এই স্বাধীন-সার্বভৌম ভূ-খণ্ডটি। উত্তাল মার্চে এই সোহরাওয়ার্দীতেই ঐক্যবদ্ধ বাঙ্গালি রুখে দিয়েছিলো সব চক্রান্ত। কিন্তু স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৪ দশক পেরিয়ে এসেও মুক্তির স্বপ্নে গড়া বাংলাদেশ আজও খুঁজে ফেরে ‘৭১-এর সেই চেতনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top