সকল মেনু

পূর্ব ইউক্রেনের নিরপেক্ষ রেখা থেকে অস্ত্র সরিয়ে নিচ্ছে কিয়েভ

ukr-withdeawআন্তর্জাতিক ডেস্ক : চুক্তি অনুযায়ী সময়সীমা শেষের দিকে নিরপেক্ষ রেখা থেকে ভারী অস্ত্র-শস্ত্র সরিয়ে নেয়া শুরু করেছে ইউক্রেন। কিয়েভের অস্ত্র সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পর্যবেক্ষক সংস্থা ওএসসিই। অবশ্য এর আগ থেকে বিদ্রোহীরা নিজেরাও অস্ত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, পুরোপুরি মিনস্ক চুক্তি মানছেনা বিদ্রোহীরা।

এদিকে, ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ নিজ ভূখণ্ডে একীভূত করতে রাশিয়ার সরকার ১২ মাসেরও বেশি সময় ধরে ছক কষেছে বলে জানিয়েছে রুশ এক সংবাদমাধ্যম।

১৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মিনস্ক চুক্তি কার্যকরের পরদিন থেকে দু’সপ্তাহের মধ্যে সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে সাঁজোয়া যান, কামানসহ ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও বিদ্রোহীদের হামলার আশঙ্কায় তা করেনি ইউক্রেন। তবে বৃহস্পতিবার নিরপেক্ষ রেখা থেকে ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেয়া শুরু করেছে কিয়েভ। ইউক্রেনীয় সেনারা বিভিন্ন ধরনের ৪শ’র বেশি রকেট লঞ্চার, কামানসহ সাঁজোয়া যান সরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

দোনেৎস্কের আর্তেমাভিস্ক ছেড়ে যাওয়ার আগে ইউক্রেনীয় সেনারা বলেন, তাদের সরকারের সবশেষ এ সিদ্ধান্তে পূর্বাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।

ইউক্রেনীয় সেনা সার্জেন্ট বেজরুচকো বলেন, ‘আমি শান্তিতে বিশ্বাসী। কিন্তু শান্তি কখন আসবে সেটা আমি বলতে পারবো না। তবে আমি মনে করি, আমরা এই অস্ত্র ফেলে দিলে শান্তি আসবে।’

ইউক্রেনীয় আর্টিলারি ইউনিটের কমান্ডার নম দে গুয়েরে লাদোগা জানান, ‘যা হচ্ছে তাতে কোনো ফলাফল আসছেনা, শুধু প্রাণহানির ঘটনাই ঘটছে। আমাদের অনেক দূরে সরে যেতে হবে। আর কোনো পাল্টা হামলা নয়।’

ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা-ওএসসিই কিয়েভের ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ওএসসিই মুখপাত্র লরেন্স কচার গ্যাগনন বলেন, ‘আমরা এখানে অস্ত্র প্রত্যাহার পর্যবেক্ষণ করতে এসেছি। কোন কোন ধরনের অস্ত্র কোথায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে সেটি দেখতে এসেছি আমরা।’

অবশ্য এর আগ থেকে বিদ্রোহীরা নিরপেক্ষ রেখা থেকে ভারী অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান সরিয়ে নেয়ার দাবি করেছে। বৃহস্পতিবারও ১৮০টি কামান, ১৭টি রকেট লঞ্চার নিরপেক্ষ রেখা থেকে সরিয়ে নেয়ার কথা জানান তারা। বিদ্রোহী নেতা আলেক্সান্দর জাকারশেঙ্কো দাবি করেন, তারা ৯০ শতাংশ এলাকা থেকে ভারী অস্ত্র শস্ত্র সরিয়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে ওএসসিই প্রতিনিধিদের যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইউরোপ কমান্ডার বলেছেন, মিনস্ক চুক্তির শর্ত পুরোপুরি মানছেনা রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইউরোপ কমান্ডার বেন হজেস জানান, ‘কিছু এলাকায় যুদ্ধবিরতি মানা হলেও অনেক এলাকায় তা মানা হচ্ছে না। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সন্ত্রাসীরা ওএসসিইকে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করতে দিচ্ছেনা।’

এদিকে, রাশিয়ার সরকার বিরোধী পত্রিকা নোভায়া গেজেতা জানিয়েছে, গত বছরের মার্চে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে একীভূত করতে ১২ মাসেরও বেশি সময় ধরে পরিকল্পনা করেছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের কার্যালয়। এই পরিকল্পনায় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশও ছিলো বলে উল্লেখ করেছে পত্রিকাটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top