সকল মেনু

সৈয়দপুরে পানির উৎস না থাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে

Rezarvarমো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ঘিঞ্জি ও বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে পানির উৎস জলাধার না থাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। গোটা শহরবাসী বর্তমানে আগুন আতংকে ভুগছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে পরপর দুই রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পানির উৎস না থাকায় ভীত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া আপদকালীন পানি মজুদের জন্য রেলওয়ের রিজার্ভার অবেধ দখলে চলে যাওয়া ও ময়লা- আবর্জনা ফেলার ডাষ্টবিন হিসাবে ব্যবহার করায় সেগুলোও আর কোন কাজে আসছে না।
সৈয়দপুর ঘনবসতিপূর্ণ শিল্প ও বাণিজ্য প্রধান শহর। এই শহরে রয়েছে প্রায় ছোট-বড় ৩ শতাধিক শিল্প কারখানা। ঘরে ঘরে রয়েছে তৈরি পোশাক, মোমবাতি, চানাচুর, আগরবাতি ও মুখরোচক খাদ্য পণ্যের ক্ষুদ্র কারখানা। বৃটিশ আমলে শহরবাসীকে অগ্নিকান্ডের হাত থেকে বাঁচাতে তৈরি করা হয় জলাধার ও পুকুর। কিন্ত বর্তমানে সেসব একে একে ভরাট করাসহ জবর দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। গত ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি রাতে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কাপড়, মসলা পট্টি ও মনিহারি মার্কেটের ১৪৬ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নগদ টাকাসহ ক্ষতি হয় প্রায় ২০ কোটি টাকার। এই আগুন নেভাতে গিয়ে পানির উৎস না থাকায় দমকল বাহিনীর ৬টি ইউনিট অসহায় হয়ে পড়ে। আগুন নেভাতে দূর-দূরান্ত পানি আনতে হয় দমকল কর্মীদের। ফলে এই বাহিনীর সময় লাগে প্রায় ১২ ঘন্টা এবং সম্পদের ক্ষতি হয় প্রচুর। অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের মোট ৪৫টি জলাধারের মধ্যে মার্কেট এলাকায় ছিল ৪টি জলাধার। কিন্ত ৩০/৪০ বছরে এসব জলাধার একে একে অবৈধ দখলে চলে যায়। ফলে জলাধারগুলোর কোন চিহৃই অবশিষ্ট নেই। এছাড়া নতুন বাবুপাড়া ও মুন্সিপাড়ায় বড় দুটি পুকুরও ভরাট করে বাড়ি ও ঈদগা মাঠ তৈরি করা হয়েছে। এসব পুকুর ছিল আগুন নেভানোর একমাত্র ভরসা। পানির উৎস না থাকায় সৈয়দপুর শহর এখন অগ্নি দুর্ঘটনার ভয়ংকর ঝুঁকিতে রয়েছে। ভবিষ্যতে আগুন লাগলে ফের ক্ষতির মাশুল গুনতে হবে শহরবাসীকে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ী ও শহরবাসী জলাধার নির্মাণ ও এসব দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
অগ্নি ঝুঁকি সম্পর্কে সৈয়দপুর দমকল বাহিনীর স্টেশন অফিসার ওয়াদুদ হোসেন অগ্নি ঝুঁকির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জনবহুল এই শহরে জলাধার না থাকাটা উদ্বেগের বিষয়। গোটা শহর আগুনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পানির উৎস জলাধার নির্মাণের জন্য পৌরসভার মেয়র বরাবরে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, অগ্নিকান্ডে কাছাকাছি জলাধার খুব প্রয়োজন। তাই বিষয়টি গভীরভাবে ভাবা হচ্ছে জলাধার নির্মাণের জন্য। পৌরবাসী সহযোগিতা করলে অবৈধ জলাধার উদ্ধার করা যাবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top