সকল মেনু

নীলফামারীতে নতুন শহীদ মিনার : উদ্দীপনায় মানুষ

Shahid Minarমো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী : বাঙালির আবহমান সংগ্রামী চেুনার প্রতীক শহীদ মিনার। ১৯৫২ সালে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্মৃতির মিনার। শহীদ মিনার আমাদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেয় এ জাতি বীরের জাতি। শহীদ মিনার আমাদের প্রেরণা দিয়েছে বুক টানটান করে চলার। ভাষা আন্দোলনের ৫২ সালেই এই নীলফামারী শহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। দীর্ঘদিনের শহীদ মিনারটিকে এবার ঢাকার জাতীয় শহীদ মিনারের আদলে বড় আকারে রুপ দিয়ে একুশের প্রথম প্রহরে পৃষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে এটির উদ্বোধন করা হয়েছে। সূত্র জানায়, জার্মানির কেএফফডাবলু ব্যাংকের অর্থায়নে এবং স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নীলফামারী শহরের প্রাণকেন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরীর পাশে জেলা শহরের প্রধান সড়কের ধারে এই নতুন শহীদ মিনারটি গড়ে তোলা হয়েছে। মুল বেদীটি ২০ ফুট চওড়া এবং ২৫ ফুট ভুগর্ভস্থ থেকে আরসিসি পিলারের মাধ্যমে  ভূমি থেকে জেগে উঠা ৫০ ফুট উচ্চতার মোট ৫াট স্তম্ভের মাধ্যমে বাঙালির আবহমান সংগ্রামী চেতনাকে উপলক্ষ্য করে শহীদ মিনারের নকশাটি তৈরি করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশ টেলিভিশনের অবসরপ্রাপ্ত চিফ ডিজাইনার জি,এম, এ রাজ্জাক। স্তম্ভের পেছনে লাল গোলাকৃতি বস্তটি যেন সূর্যোদয়ের মাধ্যমে নতুন বার্তা জানান দিচ্ছে। এ যেন পূর্ব আকাশে ভোরে সূর্য উঠে, দূর থেকে দেখে ঠিক তেমনটাই মনে হবে। নীলফামারীর এই কেন্দ্রীয় নতুন শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ প্রশাসকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাব সমূহ। নতুন উদ্দীপনায় নীলফামারীর নতুন প্রজম্ম থেকে প্রবীনদের উজ্জীবিত করতে সক্ষম হবে শহীদ মিনারটি এরকমটি আশা করেন ডিজাইনার জিএমএ রাজ্জাক ও নীলফামারী পৌরসভার চেয়ারম্যান দেওয়ান কামাল আহমেদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top