নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা অবরোধ আর দফায় দফায় হরতালে দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা বর্ষের শুরুতেই তছনছ স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব একাডেমিক ক্যালেন্ডার।
হরতালের মাঝেও বছরের প্রথমদিন নতুন বই তুলে দেয়া হয় স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে। কিন্তু ৬ জানুয়ারির পর থেকে বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা অবরোধে শিক্ষা কার্যক্রমে বিপর্যয় শুরু হয়। আর এখন টানা হরতালে তা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকি বছরের শুরুতে এক্সটাকারিকুলামগুলো করতে পারেনি স্কুলগুলো।
অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে কলেজে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম হওয়ায় পরীক্ষার আগে সিলেবাস শেষ করা নিয়ে শঙ্কিত শিক্ষকরা।
মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা পরিদপ্তর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এর প্রভাব পড়ছে।’
সরকারি সিটি কলেজ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হযরত আলী জানান, ‘এভাবে চলতে থাকলে আমরা আমাদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করা নিয়ে শঙ্কায় আছি।’
অন্যদিকে একইভাবে বেহাল দশা উচ্চ শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর। ক্লাস না হওয়ার কারণে সেশন জটের আশঙ্কা এখানে।
সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র শনিবার পরীক্ষা নিতে পারছি। এতে করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম বলেন, এমন পরিস্থিতি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারলেও এর সুদূর প্রসারী প্রভাব পড়বে কোমলমতি ক্ষুদ্রে শিক্ষার্থীদের ওপর।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি নয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। এছাড়া এ অঞ্চলে প্রাইমারী-মাধ্যমিক এবং কলেজ পর্যায়ের ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরো অন্তত ১৫ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে।
অবরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারে কম। ফলে বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করা নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আছেন শিক্ষকরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।