সকল মেনু

সঙ্কট নিরসনে শনিবার বিজিএমইএ’র প্রতীকি অনশন

প্রতিকি অনসননিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশের পোশাক শিল্পে বিপর্যয় নেমে এসেছে বলে আবারো জানিয়েছে পোশাক শিল্পমালিকরা। তাই এ সংকট নিরসনের দাবিতে আগামী শনিবার পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে বিজিএমইএ ভবনের সামনে প্রতীকি অনশনের ডাক দিয়েছে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিজিএমইএ ভবনে এক জরুরি মতবিনিময় সভায় হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়া এবং শ্রমিকদের নিয়ে মাঠে নামার ইঙ্গিতও দেয়া হয়।

প্রতিযোগী দেশগুলো যখন আন্তর্জাতিক বাজার দখলে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পমালিকদের চিন্তা করতে হচ্ছে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার উপায় নিয়ে। তাই বর্তমান পরিস্থিতে বিজিএমইএ ভবনে এক জরুরি মতবিনিময় সভায় তীব্র ক্ষোভ উঠে আসে ব্যবসায়ীদের মুখে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আমরা রাজনীতি বুঝি না। আমরা ব্যবসা বুঝি। আমাদের নিরাপত্তা দেবেন। আমাদের ব্যবসা করে বাঁচতে দিন।’

গত একমাসে ৩ হাজার ২শ পোশাক কারখানার প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা সরাসরি ক্ষতির পাশাপাশি বিক্রয় আদেশ বাতিল হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার। এছাড়া সহিংস পরিস্থিতিতে ক্রেতারা চরম উদ্বেগে, সামনে আরো বড় অংকের ক্ষতির আশংকা শিল্পমালিকদের। মতবিনিময় সভায় অনেকেই অভিযোগ করেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির কারণে অর্থনীতির স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না।

ব্যবসায়ীরা বলেন ৫শ কোটি টাকার বেশি ঋণখেলাপীদের মত ক্ষতিগ্রস্ত পোশাকখাতে দীর্ঘমেয়াদে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়া উচিৎ। এসময় হরতাল অবোরধের বিরুদ্ধে কর্মসূচি তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আগামী শনিবার বেলা ১১টার সময় বিজিএমইএ’র সামনে প্রতীকি অনশনের মাধ্যমে আমরা চলমান পরিস্থিতি নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করবো। এরপর পর্যায়ক্রমে আইনের মাধ্যমে হরতাল অবরোধের মতো ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিবন্ধক কর্মসূচি বন্ধের জোর দাবি জানানো হবে।’

ব্যবসায়ীরা বলেন পোশাকখাতে দেশীয় বিনিয়োগের পরিমাণ এক লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা। যারসাথে অন্যান্যখাতের ভবিষ্যতও সরাসরি জড়িত। তাই অর্থনীতির স্বার্থে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক আচরণের তাগিদ দেন ব্যবসায়ীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top