সকল মেনু

নাশকতা: সিএমপির বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ

নাশকতাচট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নাশকতা প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পেশাদারীত্বের পরিবর্তে কিছুটা গা ছাড়াভাবে দায়িত্ব পালনের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে নাশকতার সাথে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে গড়িমসির পাশাপাশি আসামী গ্রেফতারে ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করছে থানা পুলিশ। এ অবস্থায় নাশকতা প্রতিরোধে বেগ পেতে হচ্ছে শীর্ষ কর্মকর্তাদের।

গত ৫ জানুয়ারি থেকেই চট্টগ্রাম টানা নাশকতার কবলে পড়েছে। প্রতিদিনই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে চালানো হচ্ছে ককটেল এবং পেট্রোল বোমা হামলা। এমনকি যানবাহনে আগুন দেয়ারও চেষ্টা চালায় তারা। এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে মামলা দায়ের এবং আসামি গ্রেফতারের ব্যাপারে থানা পুলিশকেই আগেই নির্দেশনা দিয়েছেন শীর্ষ কর্মকর্তারা।

সিএমপি’র ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহীদুর রহমান বলেন, ‘চারশ’রও বেশি আসামি আমারা এ পর্যন্ত গ্রেফতার করেছি, বাকি যারা এজাহারভুক্ত আসামি আছে, তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’

সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রকৌশলী বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘যারা নাশকতা করছেন, তাদের সংখ্যা খুবই কম, দু’-একজন এসেই তা করে চলে যাচ্ছেন; এক্ষেত্রে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’

পুলিশ কর্মকর্তারা মামলা দায়ের এবং আসামি গ্রেপ্তারে সফলতার দাবি করলেও মাঠের পরিস্থিতি ভিন্ন। গত ৩৯ দিনে নগরীতে দু’শর বেশি নাশকতা হয়েছে। কিন্তু মামলা হয়েছে মাত্র ৩৭টি।

সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘এটি মোকাবেলায় থানা পর্যায়ে যে কর্মকর্তারা আছেন, তাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে।’

তবে সিএমপির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের গভীরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।

সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রকৌশলী বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে যে সরকারি সিদ্ধান্ত তা তাদের অনুসরণ করতেই হবে, না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘যারা কর্মকর্তা আছেন, তাদের আমরা উদ্বুদ্ধ করছি যেনো, কোনোভাবেই জনগণের জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।’

১৬টি থানার সমন্বয়ে গঠিত ৬০ বর্গমাইলের চট্টগ্রামকে অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী চারটি জোনে ভাগ করেছে সিএমপি। আর এখানে কর্মরত রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পুলিশ সদস্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top