সকল মেনু

মার্কিন আগ্রাসনের ফলেই আইএস-এর জন্ম: কফি আনান

kofi_annanআন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনই আইএস-এর জন্ম দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। এদিকে নিজেদের পাইলট হত্যার প্রতিশোধ নিতে গত তিনদিনে সিরিয়ার ইসলামিক স্টেটের অবস্থানগুলোয় ৫৬ দফা বিমান হামলা চালিয়েছে জর্ডান। কুর্দি বাহিনীর সহায়তায় আইএসের দখল থেকে কোবানির তিনটি গ্রাম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি।

টানা তিন দিনের সশস্ত্র অভিযানে কোবানির কাওরাক-হাবিব, কারদাহ এবং বক্সাজ গ্রামগুলো আইএসের দখলমুক্ত করে নেয় ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সদস্যরা।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার পাশাপাশি ইরাকি কুর্দি বাহিনীর সাথে একজোট হয়ে স্থল আভিযানে এ সফলতা পায় সিরিয়ান আর্মি। রোববার ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক ভিডিওতে সিরিয়া থেকে আইএস দমন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানায় আসাদ বিরোধী এই বাহিনীর সদস্যরা।

তাদের কয়েকজন বলেন, ‘কাওরাক হাবিব গ্রামটি এখন আমাদের দখলে। আশা করছি কারাকোজাক ব্রিজটিও তাড়াতাড়ি দখল করে নিতে পারবে আমাদের সেনারা। আইএসের বিরুদ্ধে ইরাকী কুর্দি যোদ্ধা ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মি সদস্যরা একজোট হায়েছে। আইএসের কবল থেকে সিরিয়া স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে।

কোবানিতে যখন সিরীয় কুর্দী ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মির যৌথ অভিযানে এই সাফল্য আসছে তখন জর্ডানী বিমান বাহিনীর পাইলট মুয়াথ আল কাসাসবেহ-র হত্যার প্রতিশোধ নিতে রাক্কা শহরের ১২টি আইএস অবস্থান ধ্বংস করার দাবি করেছেন জর্ডানের বিমান বাহিনী প্রধান। আইএসকে সমূলে উৎখাত না করা পর্যন্ত এ অভিযান চলবে বলে জানান তিনি। আইএস বিরোধী অভিযানে সহায়তা হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১২টি এফ সিক্সিটিন বিমান জর্ডানে এসে পৌছেছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে আইএস-এর সৃষ্টির জন্য ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনকে দায়ী করেছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান।

সাবেক জাতিসংঘ কফি আনান বলেন, ‘ইরাকে মার্কিন হামলার পর ভেঙে দেয়া হয় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এর অনেক সদস্য পরে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোয় যোগ দেয়। প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক ও প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আগে ইরাকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করায় দেশটিতে একদিকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বেড়েছে অন্যদিকে জন্ম হয়েছে আইএসএর মত জঙ্গী সংগঠনের।’

অন্যদিকে, বাগদাদের বিভিন্ন স্থানে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ। সরকার রাত্রিকালীন কারফিউ তুলে নেয়ার পরপরই বাগদাদের শিয়া অধ্যুষিত দু’টি এলাকা ও একটি বাজারে এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটলো বলে জানায় স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top